পেঁয়াজ আমদানি: ভারত থেকে এলো ২৪৫ মেট্রিক টন, অন্যান্য দেশ থেকে শুরু ১০ অক্টোবর

অর্থনীতি

দিনাজপুর প্রতিনিধি 
19 September, 2020, 05:25 pm
Last modified: 19 September, 2020, 05:34 pm
'ইতোমধ্যেই পাকিস্তান, তুরস্ক, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার জন্য এলসি খোলা হয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে হয়তো আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সেসব দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হবে।'

অবশেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টেন্ডার হওয়া ১১ ট্রাকে করে ২৪৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। 

শনিবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিট থেকে পর্যায়ক্রমে এসব পেঁয়াজবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশ করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হারুন-উর রশিদ।

ভারতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার আগে যেসব পেঁয়াজের টেন্ডার হয়েছে, শুধু সেইগুলোই দিয়েছে দেশটি। তবে এলসি করা প্রায় ১০ হাজার টন পেঁয়াজ এখনো তারা দেয়নি। এইসব পেঁয়াজের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে, ১০ অক্টোবর পাকিস্তান, তুরস্ক, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটির ওই নেতা।

হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ পাঠানো বন্ধ করে দেয় ভারত। এর সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ে পেঁয়াজের দাম। বন্দর এলাকাতেই যেখানে পাইকারি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি ছিল, সেখানে মঙ্গলবার থেকে বিক্রি হতে শুরু করে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। 

ভারতের পাশাপাশি দেশি জাতের পেঁয়াজেরও দাম বৃদ্ধি পায়। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। 

ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এলসি খোলা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টন। এর পরিমাণ প্রায় আড়াইশ' ট্রাক।

তবে ভারত থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়া পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করবে- এমন সংবাদে বৃহস্পতিবার থেকে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা কমতে শুরু করে। শনিবার পর্যন্ত পেঁয়াজ ওই দামেই বিক্রি হচ্ছিল।

হারুন-উর রশিদ বলেন, 'শুক্রবার রাতে ভারত সরকার পেঁয়াজের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া ট্রাকগুলো ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। সেই মোতাবেক শনিবার বিকেলে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমরা অনুরোধ জানিয়েছি, ব্যাংকে খোলা এলসির বিপরীতে বাকি পেঁয়াজ দিতে।'

তিনি আরও বলেন, 'পেঁয়াজ আসায় বাজারে এর দাম কিছুটা কমবে। তবে ইতোমধ্যেই পাকিস্তান, তুরস্ক, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার জন্য এলসি খোলা হয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে হয়তো আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে সেসব দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হবে।'

'এসব দেশ থেকে আমদানি শুরু হলে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকবে না। আগামী মাসের ১০ তারিখ থেকে সেসব দেশ থেকে পেঁয়াজ বাংলাদেশে আমদানি করা শুরু হবে,' বলে জানান তিনি। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.