পুনরুদ্ধারের পথ দুর্বল দেখছে ৬৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠান
অর্থনীতি
করোনার আঘাতের ১৫ মাস পরও ৬৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান দুর্বল পুনরুদ্ধারে রয়েছে বলে এক গবেষণায় জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনোমিক মডেলিং (সানেম)।
কোভিড-১৯ উত্তরণে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের আত্মবিশ্বাস যাচাইয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ওই জরিপটি পরিচালনা করে।
৫ম পর্যায়ের এ জরিপের যে ফলাফল পাওয়া গেছে তা শনিবার প্রকাশ করে সানেম জানিয়েছে, মাত্র ৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের পৌঁছাতে পেরেছে। এছাড়া সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ পেতে ঘুষ দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে ২৯ শতাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠান।
৫০২টি শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা কিংবা তাদের প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গত জুলাই মাসে জরিপটি পরিচালনা করে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জরিপের প্রক্রিয়া ও ফলাফল তুলে ধরেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান।
অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ যারা পেয়েছে, তারা ভাল অবস্থায় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, "যারা এই প্রণোদনা পাননি, তারা কিন্তু পিছিয়ে রয়েছেন। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা মাঝারি ও বৃহৎ পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের তুলনায় বেশি পিছিয়ে আছে। এই প্রণোদনা প্যাকেজ পেতে ঘুষের অভিযোগও করেছেন উদ্যোক্তারা।"
তিনি বলেন, "জরিপে নেওয়া ২৯ শতাংশ উদ্যোক্তা কিংবা তাদের প্রতিনিধিরা ঘুষ দাবির অভিযোগ করেছেন। ৪৭ শতাংশ হ্যাঁ কিংবা না কোনোটাই বলেননি। মৌনতা সম্মতির লক্ষণ হিসেবে নিলে এরাও ঘুষের শিকার বলে ধরে নেওয়া যায়। তারা হয়তো নানান দিক থেকে ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই সরাসরি হ্যাঁ বলতে চাননি। আর মাত্র ২৪ শতাংশ জানিয়েছে, তাদের কাছে ঘুষ চাওয়া হয়নি।"
শিল্প কিংবা সেবা প্রতিষ্ঠানের ধরন ব্যাখ্যা করে ড. সেলিম রায়হান বলেন, "ঘুষের অভিযোগ তোলা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষুদ্র-মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি। মোট ৪২ শতাংশ এ ধরনের প্রতিষ্ঠান। ৩৫ শতাংশ ক্ষুদ্র আকারের প্রতিষ্ঠান। ঘুষের দাবিসহ একরম বিভিন্ন কারণে জরিপে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে জুলাই পর্যন্ত ৭৯ শতাংশ প্রণোদন প্যাকেজের বাইরে রয়ে গেছে। অর্থাৎ মাত্র ২১ শতাংশ প্যাকেজ থেকে ঋণ সুবিধা পেয়েছে।"
করোনার অভিঘাত থেকে অর্থনীতি সুরক্ষায় ঋণ আকারে কয়েক দফায় ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে শিল্প ঋণের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ রয়েছে।
Comments
While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.