দেশের মধ্যমেয়াদী অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় কোভিডের প্রভাব

অর্থনীতি

ইউএনবি
10 October, 2020, 06:35 pm
Last modified: 10 October, 2020, 06:37 pm
২০২৪ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের আশা করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে যে সব সুযোগসুবিধা পাচ্ছে, তা ওইসময় আর পাবে না।

বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এরই মধ্যে বড় প্রভাব ফেলেছে কোভিড-১৯। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এক সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদায় উত্তোরণ প্রত্যাশার মধ্যমেয়াদী অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়নে এ মহামারি ব্যাপক প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে।

এতে বলা হয়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। যা বর্তমানে পরিবর্তিত সময় অতিক্রম করছে। ফলে এ সময়টাতে বিভিন্ন বিদেশি উৎস থেকে মিশ্র ঋণ নিতে হয়েছে দেশটিকে। মিশ্র ঋণ বলতে ঋণদাতাদের কাছ থেকে অর্থছাড়ের সুদ হার ও সাধারণ সুদের হারের সমন্বয়ে নেওয়া ঋণ। এর ফলে আগের বছরের তুলনায় বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে। 

নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া ঋণের সুদ পরিশোধে সরকার ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫৫.৩ বিলিয়ন টাকা প্রদান করবে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৬৮.১ বিলিয়ন টাকা, এবং পরের অর্থবছরে ৮০.৯ বিলিয়ন টাকা।

২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া সুদের হার ছিল যথাক্রমে ০.৭ শতাংশ, ০.৮ শতাংশ, ০.৯ শতাংশ, ১.৪ শতাংশ, ১.২ শতাংশ এবং ১.৪ শতাংশ। তবে নথি অনুসারে একই ধরনের ঋণের সুদের হার ২০২০-২১, ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে হবে যথাক্রমে ১.৪ শতাংশ, ১.৪ শতাংশ এবং ১.৫ শতাংশ।

অন্যদিকে, ২০২৪ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের আশা করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে যে সব সুযোগসুবিধা পাচ্ছে, তা ওইসময় আর পাবে না।

তবে, সরকারি নথি অনুসারে বাংলাদেশের ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ হবে ৫৮৮২.৬ বিলিয়ন টাকা। যা ওই নির্দিষ্ট সময়ের নেওয়া মোট ঋণের ৩৮ শতাংশ। এর মোট আকার দাঁড়াবে ১৫ হাজার ৪৮০ বিলিয়ন টাকা। যা মোট জিডিপির প্রায় ৩৮.৩ শতাংশ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎগুলো থেকে আসবে মোট ৯৫৯৭.৮ বিলিয়ন টাকা। যা মোট পরিমাণের ৬২ শতাংশ।

২০২১-২২ অর্থবছরে বিদেশি উৎস থেকে নেওয়া ঋণের স্থিতি হবে ৫১২২.৯ বিলিয়ন টাকা বা ৩৭.৯ শতাংশ। আর ঋণের স্থিতি হবে ১৩,৫৩১.৫ বিলিয়ন টাকা। যা মোট জিডিপির ৩৭.৮ শতাংশ। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে ৮৪০৮.৬ বিলিয়ন টাকা টাকা। যা মোট পরিমাণের ৬২.১ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১১,৬৭৮.৩ বিলিয়ন টাকা। যা মোট জিডিপির ৩৬.৮ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ উৎসগুলো অবদান ছিল ৭৩৫৫.৫ বিলিয়ন টাকা বা ৬৩ শতাংশ এবং বিদেশি উৎসগুলো থেকে আসছে ৪৩২২.৮ বিলিয়ন টাকা বা ৩৭ শতাংশ।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.