ড্রাগন ফ্রুট, স্ট্রবেরি, ক্যাপসিকাম আপনার মাথাপিছু আয় বাড়াতে অবদান রেখেছে!

অর্থনীতি

টিবিএস রিপোর্ট
24 November, 2021, 12:55 am
Last modified: 24 November, 2021, 01:10 pm
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ‘নতুন হিসেবে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২,৫৫৪ ডলার।’ যা আগের হিসেবে ছিল ২ হাজার ২২৭ ডলার। অর্থাৎ, বিবিএস এর নতুন ভিত্তিবছরের হিসাবে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৩২৭ ডলার। 

কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে নতুন পরিধি যুক্ত হওয়ার কারণে মোট অর্থনীতির আকার এখন ৪১১ বিলিয়ন ডলার। অর্থনীতির ভিত্তি বছর ২০০৫-২০০৬ থেকে ২০১৫-১৬তে পরিবর্তন করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ জিডিপি হিসাবে এ চিত্র উঠে এসেছে। এতে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৫৪ ডলার।

নতুন ভিত্তি বছর ধরে প্রবৃদ্ধি হিসাব করতে, কৃষি খাতে প্রায় ২০টি নতুন ফসল যেমন- ড্রাগন ফল, স্ট্রবেরি, ক্যাপসিকাম, লটকন, কচুশাক, শরিফা, মাল্টাসহ অনেক ফল জিডিপি গণনায় যুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া, গবাদি পশু ও হাঁস মুরগীর মাংসের উৎপাদন এবং বন খাতের নতুন জরিপসহ অন্যান্য হালনাগাদ তথ্য অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় চলতি মূল্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষি খাতে মূল্যসংযোজনের আকার ১৪.৮ শতাংশ বেড়েছে। 

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির ( একনেক) সভায় বিবিএসের এই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন,  যেসব পণ্য বা উৎপাদন আগে জিডিপি হিসাবে করা হতো না, তা নতুন করে জিডিপি হিসাবে যুক্ত করা হয়েছে। 'এর জন্য বিবিএস অনেক নতুন জরিপ করেছে। ফলে দেখা গেছে আমাদের জিডিপি আকার আগের চেয়ে বেড়েছে।'  

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, 'নতুন হিসেবে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২,৫৫৪ ডলার। গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।' পুরোনো ভিত্তি বছরের হিসেবে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ২২৭ ডলার। অর্থাৎ, বিবিএস এর নতুন হিসাবে তা ৩২৭ ডলার বেড়েছে। 

পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত ছয় বছরে চলতি মূল্যে জিডিপির আকার বেড়েছে ১৭ শতাংশ।

নতুন ভিত্তি বছরের হিসাবে শিল্প খাতে জিডিপি নিরূপনের জন্য এ খাতে  অন্তর্ভূক্ত সব তথ্যের সঙ্গে "নতুন উৎপাদন শিল্প প্রতিষ্ঠান জরিপ (এসএমই)" ও নির্মাণ খাত জরিপের হালনাগাদ তথ্য এবং বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের তথ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ কারণে চলতি মূল্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শিল্প খাতে মূল্য সংযোজনের আকার বেড়েছে ৩৬.১ শতাংশ। 

সেবা খাতে পরিবহন খাতের নতুন জরিপে উবার-পাঠাও, নতুন বেসরকারি হেলিকপ্টার কোম্পানি, রিয়েল এস্টেট খাত, মোবাইল  ও এজেন্ট ব্যাংক, সরকারের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের হালনাগাদ তথ্য নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ কারণে সেবা খাতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মূল্যসংযোজনের আকার ১৪.৩ শতাংশ বেড়েছে। 

নতুন ভিত্তি বছরের হিসাবে স্থির মূল্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপির আকার দাঁড়ায় ২৭ হাজার ৯৩৯ বিলিয়ন টাকা। আর এ সময়ে প্রবৃদ্ধির হার ৫.৪৩ শতাংশ। 

অন্যদিকে, পুরোনো ভিত্তিবছর ধরে স্থির মূল্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপির আকার দাঁড়ায় ১২ হাজার ৭২ বিলিয়ন টাকা এবং প্রবৃদ্ধির হার ৫.৪৭ শতাংশ। অর্থাৎ, নতুন হিসাবে গত অর্থবছর প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে।  

বিবিএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরকে ভিত্তি বছর ধরে চলতি মূল্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি অনুপাতে বিনিয়োগ ও জাতীয় সঞ্চয় যথাক্রমে ৩০.৭৬  এবং ৩২.১৫ শতাংশ।

অন্যদিকে ২০০৫-০৬ অর্থবছরের অনুপাতে বিনিয়োগ ও জাতীয় সঞ্চয় যথাক্রমে ২৯.৯২ এবং ৩০.৩৯ শতাংশ। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.