অর্থ পাচার বন্ধে গাইডলাইন বাস্তবায়নে ব্যাংকগুলোর সময় বাড়ল

অর্থনীতি

টিবিএস রিপোর্ট
09 March, 2021, 02:00 pm
Last modified: 09 March, 2021, 02:02 pm
ব্যাংকগুলোকে প্রতি মাসের তথ্য পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৈদেশিক বাণিজ্য তথা আমদানি-রপ্তানির আড়ালে যে অর্থ পাচার হয়ে থাকে, তা রোধ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গাইডলাইন পরিপালনে ব্যাংকগুলোকে আরও আট মাস সময় দিলো বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

সোমবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার ইস্যু করেছে বিএফআইইউ। এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারির কথা বিবেচনা করে সময়সীমা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। 

২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএফআইইউ-এর এক নির্দেশনায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার, সন্ত্রাসী কার্য ও ব্যাপক ধ্বংসাত্মক অস্ত্র বিস্তারে অর্থায়ন ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব ম্যানুয়াল প্রণয়ন করে 'গাইডলাইনস ফর প্রিভেনশন অব ট্রেড বেসড মানি লন্ডারিং' বাস্তবায়ন করতে হবে।

এই গাইডলাইন বাস্তবায়নের সময়সীমা ছিল ২০২০ সালের ১ নভেম্বর। তবে করোনাভাইরাসের প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে এই সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ জুন ২০২১ করা হয়।

বাংলাদেশসহ অনুন্নত দেশগুলো থেকে উন্নত কিংবা কর স্বর্গ রাজ্য (ট্যাক্স হ্যাভেন) খ্যাত বিভিন্ন দ্বীপ রাষ্ট্রে অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে।

নিউইয়র্কভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যানসিয়াল ইন্টিগ্রিটির (জিএফআই) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে ৭ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা।

অর্থ পাচারের কারণ হিসেবে বলা হয়, আমদানি-রপ্তানিতে আন্ডার ইনভয়েসিং এবং ওভার ইনভয়েসিং মাধ্যমেই প্রধানত এই অর্থ পাচার করা হয়।

এদিকে, সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে বৈধ পথে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের বিপরীতে ২ শতাংশ প্রণোদনা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য অনলাইনে দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের (এফইপিডি) ওই সার্কুলারে, ব্যাংকগুলোকে প্রতি মাসের তথ্য পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.