স্বামীকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ‘হাউ টু মার্ডার ইয়োর হাজব্যান্ড’ বইয়ের লেখক
অফবিট
'কীভাবে আপনার স্বামীকে খুন করবেন' (হাউ টু মার্ডার ইয়োর হাজব্যান্ড) নামে একটি বই লিখেছিলেন ৭১ বছর বয়সী ন্যান্সি ক্র্যাম্পটন ব্রফি। এবার তিনি নিজের স্বামীকে খুন করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন রাজ্যের পোর্টল্যানাডের একটি আদালতে তার এ অপরাধ প্রমাণিত হয়। গুলি করে স্বামী ড্যানিয়েল ব্রফিকে খুন করেন তিনি।
বুধবার (২৫ মে) ব্রফির বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ২০১৮ সালের ২ জুন ৬৩ বছর বয়সী শেফ ড্যানিয়েলকে খুন করেন ন্যান্সি।
অপরাধ প্রমাণ হওয়ার পরে জনাকীর্ণ আদালতে ন্যান্সির মধ্যে কোনো ভাবান্তর দেখা যায়নি। তার একজন আইনজীবী জানিয়েছেন তারা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
২০১১ সালে প্রকাশিত ওই বইয়ে ন্যান্সি ধরা না পড়ে কীভাবে খুন করতে হয় তার নানা উপায় বিস্তারিতভাবে বাতলে দিয়েছেন। সেখানে খুনের মোটিভ হিসেবে তিনি বর্ণনা করেছেন—আর্থিক, 'মিথ্যাবাদী, প্রতারক হারামজাদা', অ্যাবিউজার ইত্যাদি বিষয়কে।
আর খুন করার অনেকগুলো পদ্ধতিরও বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। ছুরি দিয়ে মারলে সেটা হবে ব্যক্তিগত ও কাছাকাছি থেকে খুন, প্রচুর রক্ত ছড়াবে চারপাশে; বিষ হচ্ছে নারীর অস্ত্র, খুব সহজে খুঁজে বের করা যায়; বন্দুক অনেক শব্দ করে, ঝামেলাপূর্ণ, আর চালাতে একটু দক্ষতা লাগে—এসবই লেখা আছে তার বইটিতে।
তবে অনেক বছর আগে লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল বলে এটিকে বিচারক ও জুরিরা তাদের বিচারপ্রক্রিয়া থেকে বাইরে রেখেছেন।
প্রসিকিউটর জুরিকে জানিয়েছেন আর্থিক সমস্যাসংশ্লিষ্ট কারণে ন্যান্সি তার স্বামীকে খুন করেছেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ন্যান্সি। প্রসিকিউটর দাবি করেন ন্যান্সি একটি ঘোস্ট গান কিনে সেটার সাথে দোকান থেকে কেনা পিস্তলের যন্ত্রাংশ বদল করে এ খুন করেছেন।
গোস্ট গানগুলো ঘরে বসেই থ্রিডি প্রিন্টিং মেশিনে তৈরি করা যায় অথবা অনলাইনে আলাদা আলাদা করে এগুলোর বিভিন্ন অংশ কেনা যায়। কেউ চাইলে এ অংশগুলো জুড়ে দিয়ে একটি সম্পূর্ণ বন্দুক তৈরি করে ফেলতে পারেন। এই বন্দুকগুলোর কোনো সিরিয়াল নাম্বার থাকে না বলে এগুলোকে ট্রেস করা যায় না।
তবে সেই অস্ত্র খুঁজে পায়নি পুলিশ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে হাজতে আছেন ন্যান্সি। আগামী ১৩ জুন তার রায় দেওয়ার কথা রয়েছে।
- সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
Comments
While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.