এক মিনিটে ১১৪০ বার হাততালি দিয়ে গিনেস রেকর্ড গড়লেন মার্কিন নাগরিক!

অফবিট

টিবিএস ডেস্ক
06 November, 2022, 04:15 pm
Last modified: 06 November, 2022, 04:27 pm
২০ বছর বয়সী ডাল্টন মায়ার এক মিনিটে হাততালি দিয়েছেন ১১৪০ বার, অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ১৯ বার!

এক মিনিটের ১১৪০ বার হাততালি দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন আমেরিকান স্পিড ক্ল্যাপার ডাল্টন মায়ার। এতদিন যাবত মিনিটে সবচেয়ে বেশিবার হাততালির রেকর্ড ছিল এলি বিশপের দখলে।

২০ বছর বয়সী ডাল্টন এক মিনিটে হাততালি দিয়েছেন ১১৪০ বার, অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ১৯ বার! শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যি! এর আগের রেকর্ডধারী এলি বিশপের চেয়ে ৩৭ বার বেশি তালি দিয়ে এই বিজয় অর্জন করেছেন ডাল্টন। 

এরই মধ্যে ডাল্টনকে তার অর্জনের স্বীকৃতি দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, "এক মিনিটে সর্বোচ্চ ১১৪০ বার হাততালি দিয়ে রেকর্ড গড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের বাসিন্দা ডাল্টন মায়ার। তিনি ২০২২ সালের ১২ মার্চ এ রেকর্ড গড়েন। ডাল্টন এলিমেন্টারি স্কুলে থাকার সময় মিনিটে সবচেয়ে বেশিবার হাততালি দেওয়ার রেকর্ডটি দেখেন এবং এরপর থেকে নিজের চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন এবং নিজেকে আরও নিখুঁত করে তুলেছেন।"  

এলিমেন্টারি স্কুলে পড়ার সময় ডাল্টন একদিন ইউটিউবে স্ক্রল করছিলেন, তখনই হঠাৎ স্পিড ক্ল্যাপার কেন্ট ফ্রেঞ্চের একটি ভিডিও দেখেন, যাকে তখন বলা হতো বিশ্বের সবচেয়ে গতিসম্পন্ন ক্ল্যাপার। ডাল্টন জানান, ওই ভিডিও দেখেই তিনি স্পিড ক্ল্যাপিং শেখা শুরু করেন এবং শেষ পর্যন্ত সহজাতভাবেই এটি তার মধ্যে চলে আসে।

ডাল্টন মায়ার বলেন, "এটা সহজাতভাবেই আমার মধ্যে চলে আসে, আমার মনে হয়েছে যে আমার অনুশীলন করারও দরকার নেই। আমি এমনিতেই শিখে গেছি এটা কিভাবে করতে হয়।"

জানা যায়, স্পিড ক্ল্যাপিং এর ক্ষেত্রে এলি বিশপের আবিষ্কৃত রিস্ট ক্ল্যাপিং পদ্ধতি অনুসরণ করেন ডাল্টন মেয়ার। এর আগে মিনিটে ১১০৩ বার হাততালি দিয়ে গিনেস রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিলেন এলি বিশপ। রিস্ট ক্ল্যাপিং পদ্ধতিতে কবজি ও আঙুল ব্যবহার করা হয়; অন্যদিকে, ভিন্ন আরেকটি পদ্ধতিতে তাহের তালুতে আঙুল দিয়ে তালি দেওয়া হয়। 

সূত্র: এনডিটিভি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.