‘করোনার ভয়ে’ তিন মাস বিমানবন্দরে লুকিয়ে ছিলেন যে ব্যক্তি
মহামারীর কারণে বিমান ভ্রমণে ভয় পাওয়া এক ব্যক্তি গত তিন মাস ধরে বাস করছিলেন শিকাগোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
শনিবার বিমান কর্মীরা তার পরিচয় জানতে চাওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয় আদিত্য সিং নামে ৩৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে।
পরিচয় জানতে চাওয়ায় তিনি একটি ব্যাজের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন, কিন্তু অভিযোগ আছে যে ব্যাজটি একজন অপারেশন ম্যানেজারের, যিনি অক্টোবরে ব্যাজটি নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
পুলিশ বলছে, মি. সিং গত ১৯ অক্টোবর লস এঞ্জেলেস থেকে একটি ফ্লাইটে এসেছিলেন শিকাগোর ও'হেয়ার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে।
সহকারী স্টেট অ্যাটর্নি ক্যাথলিন হ্যাগার্টি বলেন, সে বিমানবন্দরে কর্মীদের ব্যাজ খুঁজে পেয়েছিল এবং 'কোভিডের কারণে বাড়ি ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছেন।'
এই মামলায় বিচারককে তিনি বলেন, মি. সিং অন্যান্য যাত্রীদের সাথে আড্ডা দেবার মাধ্যমে এয়ারপোর্টে জীবন চালিয়েছেন।
কুক কাউন্টির বিচারক সুসানা অর্টিজ এই মামলার পরিস্থিতি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
তিনি রবিবার অভিযোগ বর্ণনা করা প্রসিকিউটরকে বলেন, 'যদি আমি আপনাকে পরিষ্কারভাবে বুঝে থাকি, তাহলে আপনি আমাকে বলতে চাচ্ছেন যে একজন অননুমোদিত, অ-কর্মচারী ব্যক্তি ১৯ অক্টোবর ২০২০ থেকে ১৬ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত ও'হেয়ার বিমানবন্দর টার্মিনালের একটি নিরাপদ অংশে বাস করছে এবং তাকে শনাক্ত করা যায়নি? আমি আপনাকে পরিষ্কারভাবে বুঝতে চাই।'
সহকারী পাবলিক ডিফেন্ডার কোর্টনি স্মলউডের মতে, মি. সিং লস এঞ্জেলেসের একটি শহরতলীতে বাস করেন এবং পূর্বে তার বিরুদ্ধে কোন অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ নেই। এটা পরিষ্কার নয় কেন তিনি শিকাগোতে ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দরের একটি বিশেষায়িত এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। যদি তিনি জামিনের জন্য ১ হাজার মার্কিন ডলার (৭৩৮ পাউন্ড) দিতে সক্ষম হন, জামিন পাবার পর তাহলে তাকে বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
বিচারক অর্টিজ বলেন, 'আদালত এই সব তথ্য এবং পরিস্থিতি বেশ ভয়ংকর বলে মনে করে।'
'বিমানবন্দরগুলোর পুরোপুরি নিরাপদ থাকার প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে ভ্রমণে মানুষের নিরাপত্তা, আমি মনে করি এই সব কাজ আদিত্য সিংকে সমাজের জন্য বিপজ্জনক করে তোলে।'
শিকাগো ডিপার্টমেন্ট অফ এভিয়েশন, যারা শহরের বিমানবন্দর তত্ত্বাবধান করে, তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, 'যদিও এই ঘটনা তদন্তাধীন রয়েছে, আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি যে এই ভদ্রলোক বিমানবন্দর বা ভ্রমণকারীদের জন্য কোনো সুরক্ষা ঝুঁকি তৈরি করেননি।'