রাতারাতি কোটিপতি তানজানিয়ার খনি শ্রমিক

অফবিট

টিবিএস ডেস্ক
27 June, 2020, 09:45 am
Last modified: 27 June, 2020, 11:06 am
হঠাৎ পাওয়া এই বিপুল সম্পত্তি তার জীবনযাত্রায় কোন পরিবর্তন আনবে কি না জানতে চাইলে লায়জার জানান, তিনি তার নতুন সম্পদকে তার জীবনধারা পরিবর্তন করতে দিতে চান না। আগের মতোই তিনি তার ২ হাজার গরুর দেখাশোনা চালিয়ে যাবেন।

আফ্রিকার তানজানিয়ায় বিশাল আকারের দু'টি তানজানাইট পাথর বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছেন ৫২ বছর বয়সী খনি শ্রমিক সানিনিউ লায়জার।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত ২৪ জুন তানজানিয়া সরকার লায়জারকে ৭.৭৪ বিলিয়ন তেলজানিয়ান শিলিং বা ৩.৩৫ মিলিয়ন ডলারের একটি চেক হস্তান্তর করেছে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ২৮ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা। 

এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে বাড়ির কাছে একটি স্কুল তৈরি করতে চান বলে বিবিসিকে জানান লায়জার।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, তবে তার আগে একটি গরু জবাই করে বড় পার্টি দিতে চান লায়জার, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি উদযাপন করতে চান তিনি। 

লায়জার  থাকেন তানজানিয়ার ময়ানারা অঞ্চলের সিমানজিরো জেলায়। এখানে স্থানীয় সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য একটি স্কুল এবং বাসিন্দাদের জন্য একটি শপিংমল তৈরি করে তার নতুন সম্পদ বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন তিনি।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লায়জার বলেন, "আমি আমার বাড়ির কাছে এই স্কুলটি তৈরি করতে চাই। আশেপাশে এমন অনেক দরিদ্র লোক রয়েছে যারা তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর সামর্থ রাখে না। আমি নিজে শিক্ষিত নই তবে আমি পেশাদার বিষয়গুলো পছন্দ করি। তাই আমি চাই আমার বাচ্চারা পেশাগতভাবে ব্যবসা পরিচালনা করুক।"

স্থানীয় এক ভূতত্ত্ববিদ বিবিসিকে জানান, তানজানাইট পৃথিবীর বিরল রত্নগুলোর মধ্যে একটি। সাধারণত অলঙ্কার তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এই রত্নটি। তবে আগামী ২০ বছরের মধ্যে বিশ্বে রত্নটির সরবরাহ কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

তানজানিয়ার উত্তরের খনিগুলোতে কালো-বেগুনী-নীল রঙের এই রত্ন পাথর পাথর পাওয়া যায়। প্রকৃতিতে এই রত্নটি বিরল। আর তাই এর মূল্যও এত বেশি।

লায়জারের পাওয়া তানজানাইট পাথর দুইটির ওজন ছিল প্রায় ১০ কেজি। এর আগে তানজানিয়ায় পাওয়া সবচেয়ে বড় তানজানাইট রত্নটির ওজন ৩.৩ কিলোগ্রাম ছিল। 

এই ঘটনায় তানজানিয়ায় রাষ্ট্রপতি জন মাগুফুলি বলেন, এটি প্রমাণ করে যে তানজানিয়া ধনী হওয়ার মতো যথেষ্ট খনিজ সম্পদ আমাদের রয়েছে।

লায়জারের বিশাল পরিবার, তার চার স্ত্রী এবং ৩০ জনেরও বেশি সন্তান রয়েছে। 

হঠাৎ পাওয়া এই বিপুল সম্পত্তি তার জীবনযাত্রায় কোন পরিবর্তন আনবে কি না জানতে চাইলে লায়জার জানান, তিনি তার নতুন সম্পদকে তার জীবনধারা পরিবর্তন করতে দিতে চান না। আগের মতোই তিনি তার ২ হাজার গরুর দেখাশোনা চালিয়ে যাবেন এবং বেঁচে থাকার উদ্বেগ ছাড়াই বাঁচতে চান।

এত সম্পদের জন্য তো নিরাপত্তা নিয়ে লায়েজারকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'এখানে পর্যাপ্ত সুরক্ষা রয়েছে। কোনও সমস্যা হবে না। আমি এমনকি কোনও সমস্যা ছাড়াই রাতে ঘোরাঘুরি করতে পারি।'

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.