প্রিন্স হ্যারিকে ‘পার্ট-টাইম’ চাকরির প্রস্তাব দিল বার্গার কিং

অফবিট

টিবিএস রিপোর্ট
15 January, 2020, 05:15 pm
Last modified: 15 January, 2020, 05:25 pm
এমন টুইটের পর কেউ কেউ যেমন বার্গার কিংয়ের সমালোচনা করেছেন, তেমনি কেউ কেউ বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন।

‘আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়ার’ ইচ্ছা থেকে স্ত্রী মেগানকে নিয়ে ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ ছাড়ার সিদ্ধান্তের পর প্রিন্স হ্যারিকে ‘পার্ট-টাইম বিক্রয়কর্মী’ হিসেবে কাজের আমন্ত্রণ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক রেস্টুরেন্ট চেইন বার্গার কিং।

এ সংক্রান্ত একটি টুইট মঙ্গলবার বার্গার কিংয়ের অফিশিয়াল টুইটার থেকে পোস্ট করা হয়। এরপরই সেটি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা, সমালোচনা। 

ওই পোস্টে তারা লেখে, “হ্যারি, এই রাজকীয় পরিবার তোমাকে পার্ট-টাইম পজিশনে কাজের প্রস্তাব দিচ্ছে।”

এমন টুইটের পর কেউ কেউ যেমন বার্গার কিংয়ের সমালোচনা করেছেন, তেমনি কেউ কেউ বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন।

রিটুইট করে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “হ্যারি রাজপরিবারের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য পরিচয় ত্যাগ করেছেন, তার আত্মমর্যাদা ত্যাগ করেননি।” 

আরেকজন ব্যবহারকারী মজা করে লিখেছেন, “এ কাজের জন্য প্রিন্সেস মেগানের অনুমতি লাগবে হ্যারির।”

বার্গার কিং যুক্তরাষ্ট্রের আগে টুইটারে হ্যারি ও মেগানকে নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলো চেইন রেস্টুরেন্টটির আর্জেন্টিনা শাখা।

তারা লিখেছে, “প্রিয় ডিউকদ্বয়, রাজমুকুট ত্যাগ করা ছাড়াই তোমরা তোমাদের প্রথম কাজের খোঁজ করতে পারো।”

আরেক পোস্টে তারা লিখেছে, “তোমরা যদি একটি কাজের সন্ধান করো, তবে আমাদের কাছে তোমাদের জন্য একটি নতুন মুকুট আছে।”

এর আগে ব্রিটিশ রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে উত্তর আমেরিকায় পাড়ি জমানোর যে সিদ্ধান্ত ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল নেন সোমবার রাতে এক বৈঠকে তাতে ‘পূর্ণ সমর্থন’ দেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

এক বার্তায় রানি বলেছিলেন, “হ্যারি ও মেগান পরিষ্কার করেই বলে দিয়েছে, নতুন জীবনে তারা সরকারি কোষাগারের অর্থের ওপর নির্ভরশীল থাকবে না। হ্যারি ও মেগান স্থান পরিবর্তনের জন্য এই সময়ে কানাডা ও যুক্তরাজ্যে বসবাস করবেন বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে ব্যাপারে সম্মত হয়েছে সবাই। নতুন পরিবার হিসেবে নতুন জীবনের জন্য হ্যারি ও মেগানের আকাঙ্খার প্রতি আমি ও আমার পরিবার পুরো সমর্থন দিচ্ছি।”

গত বুধবার রাজপরিবারের সবাইকে হতবাক করে দিয়ে জ্যেষ্ঠ সদস্যের দায়িত্ব থেকে সরে এসে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য কাজ করার ঘোষণা দেন ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি এবং ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল।

২০১৮ সালের মে মাসে ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রিন্স হ্যারি ও হলিউড তারকা মেগান মার্কেলের বিয়ে হয়। ছবি: রয়টার্স

পরিবারের বায়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে আলোচনা না-করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে মেগান-হ্যারি এক বিবৃতিতে বলেন, অনেক ভেবেচিন্তেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিছু সময় তারা ব্রিটেন, বাকি সময় উত্তর আমেরিকায় কাটাবেন। তবে, ব্রিটেনের রানি, কমনওয়েলথ এবং পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি দায়িত্ব পালনে কোনও ত্রুটি রাখবেন না। তাদের এ সিদ্ধান্তে রীতিমতো হতাশ এবং আহত হয় রাজপরিবার। রাজপরিবারে তাদের ভবিষ্যৎ ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ার মধ্যেই কানাডায় ফিরে যান ব্রিটিশ রাজবধূ মেগান।

২০১৮ সালের মে মাসে ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রিন্স হ্যারি ও হলিউড তারকা মেগান মার্কেলের বিয়ে হয়। এই দম্পতিকে নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে অনেক সময় নেতিবাচক খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ভিন্ন দেশের ও শ্বেতাঙ্গ না হওয়ায় নানা ধরনের নেতিবাচক কথা শুনতে হয়েছে মেগান মার্কেলকে। এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের বাড়াবাড়ি নিয়েও বিরক্ত হ্যারি-মেগান। 

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.