ছুটি বাড়ানোর জন্য ৩৭ দিনে ৪ বার বিয়ে, ৩ বার ডিভোর্স 

অফবিট

টিবিএস ডেস্ক
16 April, 2021, 06:55 pm
Last modified: 16 April, 2021, 06:59 pm
ব্যাংকের এক কর্মী একই নারীকে তৃতীয় ও চতুর্থবার বিয়ে করেন এবং ৩৭ দিনের মধ্যেই তাকে ৩ বার ডিভোর্সও দেন

কর্মক্ষেত্র থেকে ছুটি পাওয়ার জন্য অভিনব কৌশল অবলম্বন করেছেন তাইওয়ানের এক ব্যক্তি। ৩৭ দিনে তিনি ৪ বার বিয়ে করেছেন এবং ডিভোর্স দিয়েছেন ৩ বার।   

তাওয়ানের আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তির বিয়ে উপলক্ষে কর্মক্ষেত্র থেকে ৮ দিন ছুটি পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাইওয়ানের অজ্ঞাতনামা সেই ব্যক্তিও গত বছরের ৬ এপ্রিল নিজের বিয়ের জন্য অফিস থেকে একই পরিমাণ ছুটি পেয়েছিলেন। কিন্তু, পেইড লিভ বা বৈতনিক ছুটির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য এই গল্পের নায়ক আগেই প্রস্তুত হয়েই ছিলেন। ছুটির ৮ম দিনে তিনি নিজের স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন এবং পরেরদিন তাকেই আবার বিয়ে করেন। ফলে আরো ৮ দিন ছুটি চাওয়ার সুযোগ তৈরি হয় তার সামনে। 

তিনি একই নারীকে তৃতীয় ও চতুর্থবার বিয়ে করেন এবং ৩৭ দিনের মধ্যেই তাকে ৩ বার ডিভোর্স দেন। অর্থাৎ, চারবার বিয়ের জন্যে তিনি সর্বমোট ৩২ দিনের ছুটি প্রত্যাশা করেছিলেন। 

কিন্তু এই তাইওয়ানির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে একই রকম কান্ড ঘটানোর আগে আপনি অন্তত দু'বার ভেবে নেবেন। কারণ এই গল্পের নায়ক যেমনটি আশা করেছিলেন, ব্যাটে-বলে তা মেলেনি। কারণ ডিভোর্সের পরদিনই একই নারীকে আবার বিয়ে করতে দেখে, তিনি যেই ব্যাংকে চাকরি করতেন, সেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার চালাকি ধরে ফেলে এবং আরও ৮ দিন বেশি ছুটি দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

কিন্তু, তাতেও দমে যাবার পাত্র ছিলেন না এই ব্যক্তি। তিনি নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে রাজধানী তাইপের সিটি লেবার ব্যুরোতে একখানা মামলাই ঠুকে দিলেন। অভিযোগ ছিল এই যে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ 'কর্মীর ছুটির নিয়ম' সংক্রান্ত ২ নং অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করেছে এবং ৪ বার বিয়ে করায় তিনি অবশ্যই ৩২ দিন ছুটি পাবার দাবিদার।  

ব্যাংক কেরানীর এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাইওয়ানের শ্রম অধিদপ্তর তার ঘটনাটি তদন্তে নামে এবং জানায় যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রকৃতপক্ষে আইন ভঙ্গ করেছে। গত বছরের অক্টোবরেই নিয়োগকর্তাকে ২০,০০০ তাইওয়ানি মুদ্রা জরিমানা করা হয়। 

তবে আদালত বিশেষ একটি আপিলে জানায়, উক্ত কর্মী 'বৈবাহিক ছুটি'র যে অনৈতিক সুবিধা নিয়েছেন- তা আসলে দেশের শ্রম আইন অনুযায়ী বৈধ ছুটির পর্যায়ে পড়ে না। 

তার আগে গত, ১০ এপ্রিল শ্রম অধিদপ্তর অনিচ্ছাকৃতভাবে আগের রুল সমর্থন করে জানায়, ব্যাংক কেরানির আচরণবিধি অনৈতিক হলেও তিনি কোন নিয়মভঙ্গ করেননি, বরং ব্যাংকই আইনভঙ্গ করেছে ছুটি না দিয়ে।   

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ার পরপরই সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। কেউই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, তাইওয়ানিজ শ্রম আইনে এরকম একটি ফাঁক থাকতে পারে। অনেকেই বলছেন, আইনে যেহেতু ফাঁক রয়েছে, তাই যে কেউ চাইলেই একই পন্থা অবলম্বন করতেই পারে। তবে গত বছর পর্যন্ত অবশ্য এ ধরনের কোন অসাধু চেষ্টার খবর মেলেনি।   

  • সূত্র: অডিটি সেন্ট্রাল 
     

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.