এবার এলো 'শব্দ-বর্ধক' ফেস মাস্ক!
করোনাভাইরাস বাস্তবতায় দুনিয়াজুড়ে ফেস মাস্ক হয়ে উঠেছে প্রাত্যহিক জীবনের এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ। অতি প্রয়োজনীয় এই সুরক্ষাদায়ী পণ্যটিকে নিয়ে নিরীক্ষারও শেষ নেই যেন। হীরা দিয়ে কেউ বানাচ্ছেন পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ফেস মাস্ক; কেউ আবার ফুটিয়ে তুলছেন ফ্যাশনের নতুন ভাষা।
এরইমধ্যে হাঙ্গেরিয়ান এক অর্কেস্ট্রা কনডাক্টর এমন এক ফেস মাস্ক উদ্ভাবন করেছেন, যেটি শব্দ-বর্ধক।
চারপাশে ফেস মাস্কের ছড়াছড়ি দেখে ইউরোপিয়ার দেশটির রাজধানী বুডাপেস্টের বাসিন্দা ইভান ফিশারের মাথায় এক আইডিয়া এলো। অতি প্রয়োজনীয় ফেস মাস্ককে তিনি পরিণত করলেন একটা মিউজিক শ্রবণ যন্ত্রে!
এই অর্কেস্ট্রা কনডাক্টরের উদ্ভাবিত ফেস মাস্কে রয়েছে প্লাস্টিকের কাপ আকৃতির দুটি অংশ, হাতের নকশায় যেগুলো কান ঢেকে রাখে আর শ্রবণশক্তিতে করে তোলে আরও জোরাল।
'দেখে মনে হবে কান ঢেকে রেখেছে কোনো হাত, এই আইডিয়া হুট করেই মাথায় এলো আমার,' বলেন ফিশার।
বুডাপেস্ট ফেস্টিভ্যাল অর্কেস্ট্রার প্রধান কনডাক্টর ফিশার জানান, বিটোফেন ও স্ট্রসের মিউজিকের মহড়া করতে করতে এক সন্ধ্যায় আইডিয়াটি মাথায় আসে তার। নিজের উদ্ভাবিত এই মাস্ক পরলে তিনি শব্দ স্বাভাবিকের চেয়ে একটু জোরে, আরেকটু ভালোভাবে শুনতে পান।
অর্কেস্ট্রা দর্শকদের কাছে মাস্কটি ইতোমধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অর্কেস্ট্রাটির ওয়েবসাইট থেকে চাইলেই এটি কিনতে পারছেন তারা। দাম পড়ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় সোয়া ২ হাজার টাকার মতো।
অর্কেস্ট্রা দর্শক ও এই মাস্কের ব্যবহারকারী সুজা হুনিয়াদি-জল্টান বলেন, 'এটা পরলে মিউজিক শ্রবণে আরও বেশি মনোনিবেশ করা যায়। মাস্কটি খুলে ও পরে- দুভাবেই পরখ করে একটা স্পষ্ট পার্থক্য আমি টের পেয়েছি।'
- সূত্র: রয়টার্স