আমদানির অনুমতি নেই, নষ্ট করা হচ্ছে কুমিরের চামড়ার ১৬ লাখ টাকা দামি হ্যান্ডব্যাগ!

অফবিট

টিবিএস ডেস্ক
04 September, 2020, 08:15 pm
Last modified: 04 September, 2020, 08:55 pm
অস্ট্রেলিয়ায় অ্যালিগেটরের চামড়ায় তৈরি পণ্য আমদানির অনুমতি থাকলেও এই প্রক্রিয়া কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।

ফ্রান্স থেকে ২৬ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার মূল্যের একটি চামড়ার ব্যাগ কেনেন এক অস্ট্রেলিয়ান নারী। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য প্রায় ১৬ লাখ টাকা। ব্যাগটি অ্যালিগেটর বা এক প্রজাতির কুমিরের চামড়া দিয়ে বানানো। তবে বৈধ অনুমতি ছাড়া আমদানি করায় ব্যাগটি নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে।

ফ্রান্সের সেন্ট লরা বুটিক থেকে কেনা হয় এই বিলাসবহুল ব্যাগ। অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরের সীমান্তে ব্যাগটি জব্দ করা হয়। অ্যালিগেটরের চামড়ার তৈরি পণ্য অস্ট্রেলিয়ায় আমদানির অনুমতি রয়েছে। তবে ক্রেতাদের ৭০ অস্ট্রেলীয় ডলারের বিনিময়ে এই অনুমতি নিতে হয়। 

অস্ট্রেলিয়ার পরিবেশ মন্ত্রী এই ঘটনাকে 'ব্যয়বহুল অনুস্মারক' বলে মন্তব্য করেন।

অবৈধভাবে ব্যাগ আমদানির জন্য ওই নারীর ২৬ হাজার ৩১৩ অস্ট্রেলীয় ডলার নষ্ট হয়। তাই তার বিরুদ্ধে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে জানায় কৃষি, পানি ও পরিবেশ বিভাগ।

অস্ট্রেলিয়ায় বন্য প্রাণী বাণিজ্য অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ২ লাখ ২০ হাজার ডলার জরিমানার বিধান রয়েছে।

অ্যালিগেটরের চামড়ায় তৈরি পণ্য আমদানির অনুমতি থাকলেও এই প্রক্রিয়া কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইন এনডেঞ্জারড স্পিসিস অব ওয়াইল্ড ফোনা অ্যান্ড ফ্লোরা'র (সাইটস) নিয়ম অনুসরণ করা হয় এ ক্ষেত্রে।

দেশটির পরিবেশ মন্ত্রী সুসান লে বলেন, 'আমরা অনলাইনে কী কিনছি এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী রক্ষায় প্রাণিজ পণ্যের বাণিজ্যের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা অত্যন্ত জরুরি। অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে অস্ট্রেলিয়ায় কী পণ্য আসছে ও কী কী পণ্য রপ্তানি হচ্ছে, তার ওপর নজরদারি করছে সরকার।'

ব্যাগটির ক্রেতা ফ্রান্স থেকে রপ্তানির অনুমতি নিলেও অস্ট্রেলিয়ার সাইটস ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমদানির অনুমতি নেননি।

বিশ্বজুড়ে দেশগুলো বন্য প্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য শক্ত হাতে দমন করলেও, সমালোচকরা বলছেন ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানগুলোর কারণে এটি বন্ধ হচ্ছে না।

অস্ট্রেলিয়ান সরকার জানায়, সীমান্তে বন্য প্রাণী থেকে তৈরি যেকোনো দ্রব্যের অবৈধ আমদানির ব্যাপারে নজরদারি চালাচ্ছে তারা।

  • সূত্র: বিবিসি

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.