আমদানি শুল্ক কমাল বাংলাদেশ, ৫ দিনে ভারতে চালের দাম বেড়েছে ১০%
ভারতের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে গত ৫ দিনে চালের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। বাংলাদেশ চাল আমদানির ওপর শুল্ক সাড়ে ৬৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার পর, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের চাল রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় উভয় বাজারে দাম বেড়েছে। ইকোনোমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য।
গেলো ২২ জুন, এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জানায়, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাসমতি চাল ছাড়া অন্যান্য ধরনের চাল নতুন নির্ধারিত শুল্কে আমদানি করা হবে। গমের পর চাল রপ্তানিতেও ভারত নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে এই আশঙ্কায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ এত তাড়াতাড়ি ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু করেছে।
সাধারণত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে চালের আমদানি শুরু হয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের প্রভাবে বিশ্বে গমের সংকট দেখা দেওয়ায় নিত্য এই খাদ্য পণ্যের আমদানি কমেছে দেশে। এর পাশাপাশি, সিলেট-সুনামগঞ্জ অঞ্চলের বন্যার প্রভাবে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনেও ভাটা পড়েছে।
ভারতের রাইস এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন্স-এর সভাপতি বিভি কৃষ্ণা রাও ইকোনোমিক টাইমসকে বলেন, "গত পাঁচ দিনে ভারতের নন-বাসমতি (বাসমতি চাল ছাড়া) চালের দাম বিশ্ব বাজারে প্রতি টন ৩৫০ ডলার থেকে বেড়ে ৩৬০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ থেকে (আমদানি শুল্কের) খবর আসার পরই এই ঘটনা ঘটেছে।"
বিশ্বব্যাপী গমের দাম বৃদ্ধি এবং আমদানি হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশে আটার দাম বেড়েছে। ফলে চালের ওপর সৃষ্টি হয়েছে অতিরিক্ত চাপ। এছাড়া আগাম বন্যা, ঝড় এবং অতিবৃষ্টির কারণে ধানের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চালের দাম আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মূলত এ কারণেই আগে থেকে সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ চালের ওপর আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতবছর ভারত থেকে ১৩.৫৯ লাখ টন চাল আমদানি করেছে বাংলাদেশ, যার আর্থমূল্য ৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সে তুলনায় ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব কমার্শিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য অনুসারে, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৬.১১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের নন-বাসমতি চাল রপ্তানি করেছে ভারত, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১.৩১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি।
- সূত্র: ইকোনোমিক টাইমস