হিজবুল্লাহ’র শীর্ষ ১১ কমান্ডারের প্রায় সবাইকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
সাম্প্রতিক সময়ে করা ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ'র শীর্ষ সামরিক নেতাদের প্রায় সবাই নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে তেল আবিব। লেবাননের প্রতিরোধ সংগঠনটির মহাসচিব ও প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ বিমান হামলায় নিহত হওয়ার পরে এমন দাবি করা হয়েছে।
গতরাতে বৈরুতের একটি কম্পাউন্ডে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে আজ শনিবার দাবি করে তেল আবিব। পরে হিজবুল্লাহ'র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে নাসরুল্লাহ'র মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হয়।
এরপরেই আজ সামাজিক মাধ্যম 'এক্স' (সাবেক টুইটার) এ নিহত হিজবুল্লাহ'র চেইন অব কম্যান্ডের একটি ডায়াগ্রাম পোস্ট করেছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে নাসরুল্লাহ ও হিজবুল্লাহ'র দক্ষিণাঞ্চলীয় ফ্রন্টের প্রধান আলী কারাকিসহ ১৮ জনের পদ ও নাম উল্লেখ করে, তাদের সবাইকে 'ইলিমিনেটেড' বা 'হত্যা' করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
যদিও ইসরায়লের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ আরেকটি পোস্টে শীর্ষ ১১ হিজবুল্লাহ নেতার তালিকা প্রকাশ করে, যাদের মধ্যে ১০ জনকে হত্যার দাবি করেছে তারা। ওই তালিকা অনুযায়ী, শীর্ষ সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে এপর্যন্ত জীবিত রয়েছেন কেবল হিজবুল্লাহ'র বদর ইউনিটের কমান্ডার আবু আলী রিদা। আইডিএফের তালিকার সঙ্গে তাঁদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত তালিকায় থাকা হিজবুল্লাহ নেতাদের নাম ও পদের সাদৃশ্য রয়েছে। তবে তাদের তালিকায়, আরও দুজন – হিজবুল্লাহর রকেট ও মিসাইল ফোর্সের কমান্ডার ইব্রাহিম মোহাম্মদ কাবাসি ও এরিয়াল কম্যান্ডের প্রধান হুসেইন সুরুরের নাম উল্লেখ করা হয়। ইসরায়েলি হামলায় তারা দুজনেই নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত ৩০ বছর ধরে দৃঢ়ভাবে হিজবুল্লাহকে নেতৃত্ব দিয়েছেন হাসান নাসরুল্লাহা। তাকে হত্যা করাকে বড় জয় হিসেবে দেখছে ইসরায়েলিরা। কারণ, তিনি ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একজন সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব। মূলত তার নেতৃত্বেই শক্তিশালী এক সংগঠন হিসেবে গড়ে ওঠে হিজবুল্লাহ। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বিস্তার লাভ করে এর প্রভাব আর জনপ্রিয়তা।
হিজবুল্লাহ প্রধান নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে এক বিবৃতিতে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি। তবে নাসরুল্লাহ'র স্থলাভিষিক্ত কে হচ্ছেন–সেটি এখনও জানানো হয়নি।