কেফিয়েহ নিষেধাজ্ঞায় নিউ ইয়র্কের জাদুঘরের পুরস্কার প্রত্যাখান পুলিৎজার জয়ী ঝুম্পা লাহিড়ি’র
পুলিৎজার বিজয়ী লেখিকা ঝুম্পা লাহিড়ি নিউ ইয়র্ক সিটির নোগুচি জাদুঘরের পুরস্কার প্রত্যাখান করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, কেফিয়েহ স্কার্ফ পরার কারণে জাদুঘরটি তার তিন কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে।
গতকাল বুধবার জাদুঘরটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "তাদের নতুন আরোপিত পোশাক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে ঝুম্পা লাহিড়ি ২০২৪ সালের ইসামু নোগুচি পুরস্কার গ্রহণ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"
২০০০ সালে 'ইন্টারপিটার অব ম্যালাডিস' বইয়ের জন্য পুলিৎজার পান লাহিড়ি। তার বিষয়ে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, "আমরা তার মতামতকে সম্মান করি এবং বুঝতে পারি যে এই নীতি প্রত্যেকের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্য নাও হতে পারে।"
সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রথম এই সংবাদটি প্রকাশিত হয়।
গত মাসে জাপানী-আমেরিকান ভাস্কর ইসামু নোগুচির প্রতিষ্ঠিত এই আর্ট মিউজিয়াম ঘোষণা করে, 'রাজনৈতিক বার্তা, স্লোগান বা প্রতীক' বহন করে এ ধরণের কোনো পোশাক পরা যাবে না। আর এ নীতি ভঙ্গ করায় সেখানকার তিন কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়।
বিশ্বজেুড়ে ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ অনেকেই সাদা-কালো কেফিয়েহ স্কার্ফ পরছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্য বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকেও অনেকবার এ কেফিয়েহ স্কার্ফ পরতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের সমর্থকরা দাবি করেন এ পোশাক চরমপন্থীদের প্রতি সমর্থনকে নির্দেশ করে।
গত নভেম্বরে ভার্মন্টে ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত তিনজন শিক্ষার্থীকে গুলি করা হয়। তাদের মধ্যে দুইজন কেফিয়েহ পরা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে আরও অনেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন।
গত মে মাসে নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালের এক ফিলিস্তিনীয়-আমেরিকান নার্সকে বরখাস্ত করা হয়। একটি পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে গাজা পরিস্থিতিকে 'গণহত্যা' বলে অভিহিত করায় তাকে বরখাস্ত করা হয়। আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা অভিযোগ এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরায়েল।