গাজায় জিম্মি মুক্তির চুক্তি বাস্তবায়নের বাঁধা 'শুধুই প্রশাসনিক': কাতার প্রধানমন্ত্রী
গাজায় হামাসের কাছে জিম্মি থাকা ইসরায়েলের নাগরিকদের মুক্তি দিতে কাতারের মধ্যস্থতায় চলছে আলোচনা। সেটি বাস্তবে পরিণত হতে যেসব বাঁধাগুলো রয়েছে, সেগুলো 'খুব ছোট' এবং 'শুধুই প্রশাসনিক'।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি গতকাল (রবিবার) দোহায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ফরেন পলিসি চিফের সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছেন।
অন্যদিকে ওয়াশিংটন পোস্টে গত শনিবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয় যে, ৫০ জন জিম্মিকে মুক্তির বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষই সম্মত হয়েছে। যদিও চুক্তির সাথে সম্পর্কিত হোয়াইট হাউজ বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
আর ১৫ নভেম্বর রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ৫০ জন জিম্মিকে মুক্তি ও তিন দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে।
তখন প্রস্তাবিত চুক্তির সাথে জড়িতদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাধারণ প্রস্তাবনাগুলো নিয়ে আলোচনায় দুই পক্ষই সম্মত হয়েছে। তবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনও বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, "চুক্তিটি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমি এখন এটি নিয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা চুক্তিতে পৌঁছানোর যথেষ্ট কাছাকাছি অবস্থানে আছি। যাতে করে ঐ মানুষগুলোকে নিরাপদে তাদের বাড়িতে ফিরে যায়।"
অন্যদিকে ওয়াশিংটন পোস্টের পক্ষ থেকে একইধরণের সূত্র উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়, "ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং হামাস যুদ্ধে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে গাজায় জিম্মি হওয়া কয়েক ডজন নারী ও শিশুকে মুক্ত করতে একটি অস্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছেছে।"
যদিও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, "এখনো পর্যন্ত কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো হয়নি।"
অন্যদিকে শেখ মোহাম্মদ বলেন, "প্রচেষ্টা এখনও জারি রয়েছে। আমরা ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষের সাথে যোগাযোগ করছি। গত কয়েকদিনে বেশ ভাল অগ্রগতি হয়েছে।"
গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক অফিস কাতার থেকে পরিচালিত। এই গোষ্ঠীটিই গত ৮ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে। এতে প্রায় ১৪০০ ইসরায়েলি নিহত হয় ও ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়।
অন্যদিকে এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের ক্রমাগত বোমা হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। যাদের মধ্যে শতকরা ৪০ ভাগই শিশু।
আর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত মঙ্গলবার বলেন, "জিম্মিদের মুক্তির জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। যার মধ্যে একটি হচ্ছে, স্থল আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করা।"