অবরুদ্ধ গাজা: বেরোনোর কোনো পথ নেই

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দুদিন আগে গাজার অধিবাসীদেরকে রাফাহ ক্রসিং দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও, এখন এ অঞ্চল ছেড়ে বেরিয়ে আসার প্রায় সব পথ বন্ধ। খবর বিবিসির।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলে, "রাফাহ ক্রসিং [মিশর নিয়ন্ত্রিত] এখনও খোলা রয়েছে। যারা বের হতে পারবেন তাদেরকে এ পথে বের হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।"
কিন্তু এ মুহূর্তে গাজা থেকে বেরিয়ে আসা অসম্ভব।
প্রথমত, ইসরায়েল ও গাজার সীমান্ত বন্ধ।
আবার, ইসরায়েলের নৌবাহিনী উপকূল নিয়ন্ত্রণ করে; তাই নৌকায় করে এ অঞ্চল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব না।
এরপর বাকি থাকে মিশরের দিকে রাফাহ ক্রসিং। কিন্তু এ পথ পার হতেও লাগবে অনুমতি। কিন্তু এ পথে বের হতে চাওয়া অপেক্ষমাণ মানুষের সারি বেশ দীর্ঘ।

এ সপ্তাহেও গাজা ছেড়ে এ পথে সহজে বের হওয়া যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় রাফাহ ক্রসিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে এ পথে গাজা ছেড়ে বের হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী স্বীকার করে, মিশর ক্রসিংটি বন্ধ করে দিয়েছে।
এরপর থেকে রাফাহ ক্রসিং হয় বন্ধ রাখা হচ্ছে, না হলে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
ইসরায়েল-গাজা সংঘাতের ৬ষ্ঠ দিনে আজও গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। বন্ধ আছে গাজার একমাত্র পাওয়ার প্ল্যান্ট।
গাজায় এ পর্যন্ত ১,২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৫,৬০০ জন।
ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৩০০তে। ইসরায়েলের ব্রডকাস্টিং অথরিটি বলছে, এখন পর্যন্ত আহত হয়েছে প্রায় ৩,৩০০ জন।
এদিকে, বিদ্যুৎ না থাকায় গাজার হাসপাতালগুলো মর্গে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করেছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)।
গাজার বেশিরভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় ইসরায়েল থেকে। হামাসের হামলার বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ।