পেলোসি বিদায় নিতেই তাইওয়ানের চারপাশে চীনের সামরিক মহড়া শুরু
মার্কিন রাজনীতিবিদ ন্যান্সি পেলোসির সফর শেষ হতে না হতেই তাইওয়ানের চারপাশের সমুদ্র অঞ্চলে সর্বকালের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করছে চীন।
স্থানীয় সময় ১২টায় দ্বীপের ১২ মাইলের মধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকায় শুরু হয় বেইজিংয়ের এই সামরিক কার্যক্রম।
তাইওয়ানের দাবি, চীন এই অঞ্চলের স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সংক্ষিপ্ত তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয়েছে চীন। তাইওয়ানকে চীন নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে মনে করে। ফলে মার্কিন রাজনীতিবিদের বিতর্কিত এই সফরের প্রতিক্রিয়ায় সমুদ্র সীমানায় সামরিক মহড়া শুরু করেছে বেইজং।
বেইজিংয়ের এমন প্রতিক্রিয়ায় বিচ্ছিন্ন দ্বীপটির বাণিজ্যও কিছু অংশে অবরুদ্ধ হয়ে আছে।
বেইজিং জানিয়েছে, মহড়াটি ব্যস্ত নৌপথে অনুষ্ঠিত হবে এবং এতে দূরপাল্লার গোলাবারুদ ব্যবহার করা হবে।
এদিকে তাইওয়ান বলছে, চীনের এই মহড়া একইসঙ্গে সমুদ্র ও বিমানপথ অবরোধের সামিল। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, মহড়াটি দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং এটি যেকোনো সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
তাইওয়ান জানায়, বুধবার চীনা যুদ্ধবিমানগুলোকে সতর্ক করেছে; সেইসঙ্গে দ্বীপের সামরিক বাহিনী মূল ভূখণ্ডের কাছাকাছি অবস্থিত কিনমেন দ্বীপপুঞ্জের ওপর চক্কর দেওয়া অজ্ঞাত বিমানগুলোকে সতর্ক করতে গোলাবারুদও ছুঁড়েছে।
তাইওয়ানের সরকার আরও জানায়, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সাইবার-আক্রমণেরও শিকার হয়েছে।
চলমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে তাইওয়ান বাণিজ্য জাহাজগুলোকে ভিন্ন রুট ব্যবহার করতে বলছে এবং বিমান চলাচলের বিকল্প রুট খুঁজতে জাপান ও ফিলিপাইনের সঙ্গেও আলোচনা করছে।
- সূত্র: বিবিসি