রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করবে ইরান, দাবি হোয়াইট হাউজের
ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইরান রাশিয়াকে শত শত ড্রোন সরবরাহের পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা। এসব ড্রোনের একাংশ যুদ্ধ ক্ষমতাসম্পন্ন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে যেসব তথ্য রয়েছে তা ইঙ্গিত দেয় যে ইরান এসব ড্রোন ব্যবহারের জন্য রুশ সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
তবে ইরান ইতোমধ্যেই রুশ বাহিনীর কাছে ড্রোনগুলো পৌঁছে দিয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়, যোগ করেন সুলিভান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উভয়পক্ষের কাছেই ড্রোনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। গত সপ্তাহেই যুদ্ধে জয়লাভের জন্য হাজার হাজার ড্রোন সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছে ইউক্রেন।
উভয়পক্ষই শত্রুপক্ষের অবস্থান চিহ্নিত করতে এবং লক্ষ্যবস্তুতে সঠিকভাবে নিজস্ব আর্টিলারি ফায়ারের আঘাত হানতে ড্রোন ব্যবহার করছে।
এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, আগামী ১৯ জুলাই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরানের রাজধানী তেহরান সফরে যাবেন। সেখানে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের সাথে সিরিয়া নিয়ে শান্তি আলোচনায় বসার কথা রয়েছে তার।
জ্যাক সুলিভান আরও বলেন, এর আগে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের উপর আক্রমণের জন্য ইরানের ড্রোন ব্যবহার করেছিল।
চলতি সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েল ও সৌদি আরব সফরকে সামনে রেখে সুলিভানের মন্তব্য যুদ্ধে নতুন উত্তেজনা যোগ করেছে। তবে কোনো দেশই এখন পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় যোগ দেয়নি। ইসরায়েল ইরানকে দেখছে তাদের সবচেয়ে বড় আঞ্চলিক হুমকি হিসেবে।
গত ফেব্রুয়ারিতে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র সরবরাহ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্ররা। সুলিভানের ভাষ্যে, যুক্তরাষ্ট্র 'ইউক্রেনের কার্যকর প্রতিরক্ষা টিকিয়ে রাখবে'।
এদিকে যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতি অনুযায়ী, পূর্ব ইউক্রেনের একটি ফ্ল্যাটের ব্লকে রাশিয়ান রকেট হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এটি বেসামরিক নাগরিকদের উপর অন্যতম গুরুতর হামলা।
রাশিয়ান সৈন্যরা সোমবার ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে ছয়জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছেন বলে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পূর্ব লুহানস্ক দখল করার পর দোনেৎস্কের বাকি অংশ দখলে নেওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে রুশ সৈন্যরা। উভয় অঞ্চল মিলেই ডনবাস শিল্প অঞ্চল গঠিত, যেটিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার অংশ বলে দাবি করেন।
সূত্র: বিবিসি