কবি রাধাপদ রায়ের উপর হামলায় মামলা, আসামিরা পলাতক

কবি রাধাপদ রায়ের উপর হামলার ঘটনায় দুইজনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কুড়িগ্রামে নাগেশ্বরী থানায় মামলা হয়েছে।
রবিবার (১ অক্টোবর) কবি রাধাপদ রায়ের ছেলে যুগল চন্দ্র রায় বাদী হয় মামলা করেন। নাগেশ্বরী থানার ওসি আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসাসিরা হলেন, রফিকুল ইসলাম ও কদুর রহমান। তারা আপন দুই ভাই। বাড়ি উপজেলার ভিতরবন্দ এলাকায়। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কবি রাধাপদ ও আসামীরা একই এলাকার বাসিন্দা। অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাধাপদের সাথে বিরোধ ছিল তাদের। এ কারণে তারা প্রায়শেই কবিকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত ৩০ আগস্ট সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের নন্দনপুরে রাধাপদকে পথরোধ করে গালিগালাজ করেন অভিযুক্তরা। এসবের বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে রাধাপদকে শরীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এতে রাধাপদ তার মাথা, পিঠ ও বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। একপর্যায়ে অভিযুক্তদের একজন কবিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা করেন। পরে রাধাপদ চিৎকার করলে তারা পালিয়ে যান।
কবি রাধাপদ রায় বর্তমানে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার সকালে বাড়ির পাশের ডুবুরির ব্রিজের পাড়ে রফিকুল হঠাৎ করে আমার উপর হামলা চালায়। আমার ঘাড়ে ও পিঠে মারধর করে। পিঠের অনেক স্থানে ফেটে ক্ষত হয়েছে।
হামলায় কবি রাধাপদের পিঠের ক্ষতের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কবির উপর নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষ সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন। বিচার চান কবির পরিবারের লোকজনও।
কবির ছেলে যুগল চন্দ্র রায় বলেন, 'পূর্ব শত্রুতার জেরে বাবার উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। এটি অপরাধ। এই অপরাধের জন্য আসামিদের শাস্তি দাবি করছি।'
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি। হামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।