নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যবহার আর গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধিই সুরক্ষা দিতে পারে
বিশ্ববাজারে জ্বালানি খাতে অস্থিরতা না কমলে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে বাংলাদেশ।
নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়াও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এ কারণে এখন দরকার চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করা।
বিদ্যমান সম্পদ ও অবকাঠামোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে আগামী পাঁচ বছর আমাদের চিন্তার তেমন কারণ থাকবে না।
বাস্তবায়নের পর্যায়ে থাকা কয়লা ও পরমাণু-ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম শুরু হলে এবং প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ করা হলে, এক্ষেত্রে আগামী তিন থেকে চার বছর নিশ্চিন্তে থাকা যাবে।
নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান না করলেও, ২০২৫ সালের মধ্যে গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে উৎপাদন ৬০০এমএমসিএফ বাড়ানোর পরিকল্পনা শিল্প ও জ্বালানি খাতে গ্যাস সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ভূমিকা রাখবে।
কিন্তু, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও প্রয়োজন, এটি আবার বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।
এরমধ্যে, নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান শুরু করতে হবে আমাদের।
এর বাইরে, বৈশ্বিক জ্বালানি পরিস্থিতির উন্নতি না হলে, আমাদের কয়লা অনুসন্ধান ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। কারণ বিদেশ থেকে জ্বালানি না এলে, আর কেনার সামর্থ্য না থাকলে, নিজেদেরই জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
ড. মোহাম্মদ তামিম বুয়েটের পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা। তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ইয়ামিন সাজিদের সাথে ফোনে কথা বলেছেন।