বন্ধু ভারতের পেঁয়াজ রাজনীতি
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ মধ্য রাতে বাংলাদেশের মানুষ জানতে পারল বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারত পেঁয়াজ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে কয়েকশ পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক তখন অপেক্ষমান। মোদী সরকার হঠাৎ করে পেঁয়াজ রাজনীতিতে নামলো কেন?
পেঁয়াজ বর্তমানে যে একটি রাজনীতির বিষয় হয়ে উঠেছে তা উল্লেখ করেছে ভারতীয় কৃষক সংগঠনসমূহ। ভারতের সকল রাজ্যের মধ্যে ১০/১২ টি রাজ্যে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, গুজরাট, বিহার ও মধ্যপ্রদেশ। ভারতে মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের মধ্যে প্রায় এক চতুর্থয়াংশ পেঁয়াজ উৎপাদন হয় মহারাষ্ট্রে। যেখানে বছরে প্রায় ৪৯ লক্ষ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়।
বাংলাদেশিদের কাছে এই পেঁয়াজটিই বেশি প্রিয়। বর্তমানে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকারের সঙ্গে বিজেপি সরকারের বৈরী সম্পর্ক বিরাজমান। সেই লড়াই আসন্ন বিহার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এবছর বন্যার কারণে মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ফলে ভারতীয় বাজারে পেঁয়াজের উষ্ণ ভাব লক্ষ্য করা গেছে। বন্যার কারণে শুধুমাত্র পেঁয়াজ উৎপাদন ব্যহত হয়েছে তা নয়, অন্যান্য কৃষি পন্যও উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তারপর কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে ধাক্কা লেগেছে তা ভারতের অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
ভারতের মোট জিডিপির ১৫.৪% আসে কৃষি পণ্য থেকে। তাই ভারত সরকারের উচিত কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করা। কিন্তু বাস্তবে তা না করে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার দিকে বেশি নজর দিচ্ছে ভারতীয় সরকার। এই পদক্ষেপ মোদী সরকারের জন্য বুমেরাং হয়ে নিজ দেশে সংঙ্কট সৃষ্টি করেছে।
ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ভারতের চারিদিকে সর্ববৃহৎ সীমানা নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান। ভারতের বহু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে সমর্থন জুগিয়ে আসছে। যেমন পূর্ব ভারতে বাংলাদেশের স্থল পথ ব্যবহার করে উল্লেখযোগ্য কোনো শুল্ক ব্যাতিরেকে পণ্য আনা নেওয়ার করা ব্যবস্থা করা। হঠাৎ করে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করা যে বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে সে ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। সাম্প্রতিক চীন এবং ভারতের যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বাংলাদেশকে তার একটি পক্ষ করার জন্য দুদেশই আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে উভয় দেশের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছে।
বাংলাদেশ বর্তমানে দুই দেশের যে কোনো একটির পক্ষ অবলম্বন করতে চাচ্ছে না। পদ্মা সেতুসহ বাংলাদেশের অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্প সরাসরি চীনের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে যা বাংলাদেশর জন্য অত্যন্ত জরুরি।
বর্তমান মোদী সরকার বাংলাদেশের কাছ থেকে যে রকম সহযোগিতা পেয়েছে তার বিনিময়ে বাংলাদেশকে উল্লেখযোগ্য কোনো সহযোগিতা প্রদান করেনি যা এ দেশের জনসাধারনের কাছে দৃশ্যমান। কিছুদিন পূর্বে ভারতীয় কূটনীতিক বীণা সিক্রি একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে সহযোগিতার একটি ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন যা একজন সাধারণ মানুষও বুঝতে পারবেন যে তা খুবই নগণ্য।
পেঁয়াজ রাজনীতিটা মোদী সরকার এমন এক সময় করলো যখন বাংলাদেশও বন্যা ও কোভিড-১৯ এর কারণে বেসামাল। বাংলাদেশের বাজার মূলত ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল। কারণ পেঁয়াজ একটি পচনশীল ভোগ্য পণ্য এবং অল্প সময়ে ট্রাকে করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে আমদানি করা সম্ভব এবং সহজ।
প্রায় ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ ৫ দিন সীমান্তে আটকে থাকার পর ভারত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এতে বাংলাদেশের আমদানিকারকগণ বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। কারণ এই ৫ দিনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পেঁয়াজে পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আর্ন্তজাতিক মানের কোয়ালিটি ইন্সপেক্টরের মাধ্যমে পেঁয়াজ মান পরীক্ষা করে তা গ্রহণ উচিত ।
অপরদিকে বাংলাদের ভোক্তাগণকে উচ্চ মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। বিনা নোটিশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী মূল্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। তারা চাহিদা ও জোগানের দোহাই দিচ্ছে। বিগত বছরেও ভারত একই কাজ করেছে। গত বছর ভারত ঘোষণা দিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। বাংলাদেশ তখন বাধ্য হয়ে উচ্চ মূল্যে চীন, মায়ানমার, পাকিস্তান, তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে। যার ফলে ভোক্তাদেরকে উচ্চ মূল্যে পেঁয়াজ ক্রয় করতে হয়েছে।
চীন বিশ্বের প্রথম পিঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ, ভারত দ্বিতীয় আর বাংলাদেশের অবস্থান পাকিস্তানেরও নীচে। এই পেঁয়াজ রাজনীতিটা আমরা বেশ কয়েক বছর যাবৎই লক্ষ্য করে আসছি। তাই আমাদের সরকার এবং কৃষি বিভাগের উচিত একটি বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সরকারের উচিত এই পেঁয়াজ নিয়ে যাতে বর্হিবিশ্ব আমাদের সাথে রাজনীতি করতে না পারে সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমাদের দেশের পেঁয়াজের বাৎসরিক চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন করি প্রায় সমানে সমান। চাহিদা ২৫ লাখ টন উৎপাদন প্রায় ২৪ লাখ টন। আপতভাবে ঘাটতি বেশি না কিন্ত পেঁয়াজ সংরক্ষণে আমাদের পশ্চাৎপদতা আমাদেরকে একটা বড় ঘাটতির সামনে দাঁড় করায়। এই ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ১০ লক্ষ টন। স্বাভাবিক মৌসুমে পুরোটার জোগান দেয় ভারত।
মোদী সরকারের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা কি তাহলে বাংলাদেশ সরকারকে বিপদে ফেলবার জন্যই করা হয়েছে? এ প্রশ্ন অনেকে তুলছেন। বিনা ঘোষণায় তাৎক্ষনিক ভাবে পণ্য রফতানি বন্ধ করে দেয়ার নজির বিশ্বে বিরল। এরকম ঘটনা তখনই ঘটে যখন দুইটি দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করে। এমনকি ভারত পাকিস্তানের মধ্যেও এরকম ঘটনার বিবরণ জানা যায় না। ভারতের পণ্য পাকিস্তানে বিনা নোটিশে নিষিদ্ধ হয়নি। মোদী সরকার শুধু বাংলাদেশের প্রতি অবিচার করেননি নিজ দেশের মহারাষ্ট্রের প্রতি চরম অবিচার করেছে। মহারাষ্ট্রের কৃষককুলের বিশাল একটি অংশ এই পেঁয়াজের সাথে সম্পৃক্ত। তাই শুধু কৃষকদের প্রতি অবিচার নয় মহারাষ্ট্রের শাসক শিবসেনাকেও ঘায়েল করার জন্য কাজটি করেছে মোদি সরকার। এতে শুধু মহারাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অন্যান্য রাজ্যগুলোও। ভারত সরকার ভোক্তাদের খুশি করার লক্ষ্যে এমন করেছে বলেই প্রতীয়মান হয়। তাদের উচিত ছিল কৃষক ও ভোক্তা উভয়কেই রক্ষা করে আঞ্চলিক বন্ধুত্ত্বকে গুরূত্ব দেওয়া।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, ভারত যেদিন মধ্যরাতে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিল সেই দিনই দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে শুভেচ্ছা স্বরূপ বাংলাদেশ থেকে ১৫শ টন ইলিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে। কেউ কেউ সন্দেহ করছেন, পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ পাঠানোতে কি কেন্দ্রিয় সরকার নাখোশ হলেন? কারণ পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য শাসন করছে তৃণমূল সরকার।
গত বছর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আহবান করা হয়েছিল দুদেশের কৃষিপণ্য বিনিময়ের (আমদানি রফতানি) ক্ষেত্রে পূর্ব ঘোষণার ব্যবস্থা থাকতে হবে। কিন্তু তা রক্ষা করা হলো না। মোদী সরকা পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা কি তাহলে বাংলাদেশ সরকারকে বিপদে ফেলবার জন্যই করা হয়েছে? এ প্রশ্ন অনেকে তুলছেন। ভারতীয় সরকারের এরকম সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সংকট সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় তখন ভারতের এমন আচরন সরকারকে কিছুটা সংকটে ফেলে দেয় বৈকি। ভারতকে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের এক ব্যাপক জনগোষ্ঠী ভারত বিরোধী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। বর্তমান সরকারের সহযোগী জাতীয় পার্টি এবং অনেকগুলো বাম দল এক সময় ভারত বিরোধী অবস্থানে ছিল। আওয়ামী লীগের বিপক্ষে যে রাজনৈতিক দলটি বার বার ক্ষমতায় এসেছে তারাও প্রকারান্তে ভারত বিরোধী। তাই মোদি সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ ক্ষমতসীনদের বার বার সংকটে ফেলে দেয়। আর এ দেশের ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রায় সকলেই ভারত বিরোধী। সুতরাং ভারতের পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা বিষয়টি না জেনে করছেন তা বিশ্বাস করা কঠিন।
দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর সমিল্লিতি সভায় প্রতিবারই বাংলাদেশকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় যে, সীমান্তে হত্যাকান্ড শূন্যের কোটায় নিয়ে আশা হবে। ভারত একদিকে যেমন পেঁয়াজ রাজনীতি করছে অন্যদিকে অব্যাহত ভাবে সীমান্তে হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। সদ্য সমাপ্ত দুদেশের সীমান্ত রক্ষাবাহিনীর মধ্যে যৌথ টহলের সিদ্ধান্ত হয়েছে, কিন্তু এটা স্পষ্ট নয় যৌথ টহল কিভাবে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করবে। ভারত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি মহা অর্থনৈতিক রাষ্ট্রে পরিনত হতে যাচ্ছে, অথচ এই সময় ভারত তার প্রতিবেশী সকল দেশের সাথেই অদুরদর্শী রাজনীতির কারনে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
ভারতের শেষ সম্বল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ আজও ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরণ করে ভারতের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রকাশ করে। মোদি সরকার এনআরসি এবং সিআইএ গঠনের মাধ্যমে যে সন্দেহের দাবানল সৃষ্টি করেছে তার সঙ্গে পেঁয়াজ হচ্ছে আরেকটি সংস্করন। মোদি সরকার অতীতে আমাদের সরকারের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল কোনো বাণিজ্যিক পণ্য রফতানি বন্ধ করার আগে অবশ্যই অবহিত করা হবে। কিন্তু মোদি সরকার আবারও সে অঙ্গীকার ভঙ্গ করলো। আশা করি মোদি সরকার তথা ভারতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি অনুধাবন করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
ভারতের আরেক কৃষি পণ্য হলো তুলা। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম তুলা উৎপাদনকারী দেশ ভারত। সেই তুলার বড় বাজার হলো বাংলাদেশ এবং চীন। ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেও উল্লেযোগ্য পরিমাণ তুলা উৎপাদিত হয়ে থাকে। ভারত বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বার্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৯.৬ বিলিয়ন ডলার (২০১৭-১৮ অর্থ বছরে)। বাংলাদেশী পণ্য ভারতে রফতানি হয় ১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। প্রতি বছর কেবল তুলা আসে প্রায় ১-১.৫ বিলিয়ন ডলারের। অথচ বাংলাদেশের তুলার কারখানাগুলো ভারত থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে প্রায়শই বিড়ম্বনার স্বীকার হচ্ছে। ভারতীয় তুলার মান নিয়ে বাংলাদেশের স্পিনারদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তদুপরি ভারত থেকে আমদানি সহজলভ্য হওয়ায় তারা ভারত থেকে তুলা আমনানি করে। প্রাকৃতিক কারনে ভারতে যখনই কোনো কৃষি পণ্য উৎপাদন ব্যহত হয়। তখনই ভারত বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বের কথা ভুলে গিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। এ রকম উদাহরন রয়েছে চাল, তুলা, এবং পেঁয়াজের ক্ষেত্রে তো আছেই। তাই বাংলাদেশকে কৃষি পণ্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্নতার দিকে লক্ষ্য রেখে সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। বাংলাদেশের সুতা কলগুলোকে মনে রাখতে হবে প্রাকৃতিক কারনে ভারতে তুলা উৎপাদন ব্যহত হলে তারাও বিপদের সম্মুখীন হতে পারে।
সীমান্তে ৫ দিন আটকে রাখার পর ভারত পেঁয়াজ রফনিতে নিষেধাজ্ঞা আংশিক শিথিল করলো কিন্তু যে কারনে বাংলাদেশের এ অবস্থা সে বিষয়গুলো সব সময় মাথায় রাখতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে ভারত এ ধরনের সুযোগ গ্রহন করতে না পারে। ভারতের বাইরেও বিকল্প সরবরাহ ব্যবস্থা যেমন দেখতে হবে তেমনি ভারতের সাথে প্রতিবেশীর প্রতি পারষ্পরিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে অত্যাবশ্যকিয় পণ্য হিসেবে পেঁয়াজকে বিবেচনা করে, যে কোন পরিস্থিতিতে ভারত এর রফতানি বন্ধ করতে পারবে না এমন একটা সমঝোতা দুদেশের মধ্যে তৈরি হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের পদ্মার ইলিশের প্রতি আগ্রহ রয়েছে। তাদের পূজাপার্বন, বিভিন্ন উৎসবের সময় এদেশের ইলিশ সেখানে পাঠানোর একটা ধারাবাহিক ব্যবস্থা দুদেশের মধ্যে গড়ে তোলা যেতে পারে। প্রতিবেশীর সাথে 'ভাগ'করে খাওয়া এটা বাঙ্গালি সংস্কৃতির অংশ, এটা নিয়ে আমরা গর্ব করি। প্রয়োজনে ইলিশের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সমঝোতা গড়ে তোলা যেতে পারে। তাহলে দুদেশের কেউ যে কোনো অজুহাতে তাদের পণ্য সরবরাহ বন্ধ করতে পারবে না।