নিউ নরমাল ইকোনমি: প্রেক্ষাপট চট্টগ্রাম
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, 'এ আমার, এ তোমার পাপ।' করোনা মহামারিতে আরেক নোবেল লরেট অমর্ত্য সেন বলেছেন, 'এটি দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের চাইতেও অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দেবে।' প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও বলেছেন, এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ২ থেকে ৩ বছর লাগতে পারে।
সম্প্রতি অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলী খান বলেছেন, আমাদের স্টেবল হতে তিনটি ফিস্ক্যাল ইয়ার লাগতে পারে।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ট্রেড সেক্টরস, ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইনস, ট্যুরিজম হসপিটালিটি অ্যান্ড সার্ভিস সেক্টরে বড় ধরনের অর্থনৈতিক পরিবর্তন এসেছে। চীন ও যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, কানাডার মধ্যে একটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বড় ধরনের মেরুকরণ হতে পারে। ফলে বিজ্ঞান, হেলথ কেয়ার, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন অপারেটর মধ্যে একটা পরিবর্তন আসবে।
সন্দেহ করা হচ্ছে, নিউ নরমাল ইকোনমির ক্ষেত্রে গ্লোবালাইজেশনের পূর্ব কনসেপ্টেরও পরিবর্তন হবে। অনেক ক্ষেত্রে চলমান সশস্ত্র যুদ্ধ ও মিলিটারি কনফ্লিক্ট বাড়বে। উগ্র জাতীয়তাবাদ সৃষ্টি হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার '২১ ও '৪১-এর মিশন ও ভিশন অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাবে। এতে রেমিটেন্স ফ্লো কমবে। নদী বন্দর, সমুদ্র বন্দর, স্থল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি হ্রাস পাচ্ছে। ইকোনমিক গ্রোথ ৮ থেকে কমে ৫ শতাংশে নেমে আসবে।
বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশ ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন (বিইএ) অনুমান করেছে, করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকার ঘোষিত ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির কারণে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লক্ষ লোক চাকরি হারিয়েছিলেন। কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের চাকরিজীবীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।
বিইএ'র বর্তমান সভাপতি ড. আবুল বরকতের মতে, এই সময়ে প্রায় ৫৫.৫ মিলিয়ন বাংলাদেশির আর্থ-সামাজিক অবস্থানের অবনমন ঘটেছে। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশ্লেষণ অনুসারে, করোনারভাইরাস মহামারির বিরূপ প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের জাতীয় দারিদ্র্যের হার ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ শতাংশে, যা ২০১৬ সালে ছিল ২৪.৩ শতাংশ।
দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারও চলতি অর্থবছরে অর্ধেকেরও বেশি কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক ১.৬ শতাংশ, সিপিডি ২.৫ শতাংশ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ৩.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে ধারণা করছে।
সিপিডি একমত, আয় বৈষম্য ২০১৬ সালে ০.৪৮ থেকে ২০২০ সালে ০.৫২-এ উঠে আসতে পারে। বাংলাদেশের কৃষি ও পরিবহন খাতগুলো অনাড়ম্বর। বিশেষত যারা বস্তিতে বাস করেন, তারা বর্তমানে মোট জিডিপিতে ৮৭ শতাংশ অবদান রাখেন। এই খাতগুলোতে ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ হ্রাস করার মাধ্যমে, সরকার দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানের নিশ্চিত করতে পারে। অবশ্যই এ ধরনের উদ্যোগের জন্য বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বিস্তারিত পরিকল্পনা এবং সমন্বয় অপরিহার্য।
বন্দর
সম্প্রতি জেটি খালির একটি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। গণমাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সার্ভিসের দিক দিয়ে তারা ৮ ধাপ এগিয়ে গেছে।
দেশে সমুদ্রপথে পণ্যের ৯৩ শতাংশই আমদানি-রপ্তানি হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। গত পাঁচ বছরের হিসাব বিবেচনায় নিলে এ বন্দরে পণ্যের ওঠানামায় গড়ে সাড়ে ৯ থেকে ১০ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি হচ্ছিল। তবে করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতায় পাল্টে গেছে সেই চিত্র।
সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধিই অর্জন হয়নি চট্টগ্রাম বন্দরে।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমে বলেন, 'করোনাকালেও সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ছিল প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করা। এজন্য দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে। কনটেইনার ও জাহাজ জট তৈরি হলেও তা সামাল দেওয়া হয়েছে দক্ষতার সঙ্গে। আমদানি-রপ্তানিকারকদের অংশগ্রহণে সবকিছু স্বাভাবিকের দিকেই এগোচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির গতি ধীরে ধীরে আগের অবস্থানে চলে আসবে।'
চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষ থেকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া চিঠিতে কিছু পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাহাজের টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম কমাতে কার্গো হ্যান্ডলিং উৎপাদনশীলতা ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা, দ্রুত কনটেইনার ডেলিভারি নিশ্চিত করে কনটেইনারের ডুয়াল টাইম কমিয়ে আনা, নির্মাণাধীন কনটেইনার ইয়ার্ডগুলোর নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করে ব্যাকআপ ফ্যাসিলিটিজ বাড়ানো, নির্মাণাধীন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) আগামী এক বছরের মধ্যে চালু করে করোনা ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার পদক্ষেপ নেওয়া।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সব ধরনের পণ্যবাহী এফসিএল কনটেইনার অফডক বা আমদানিকারকের চত্বরে পাঠানোর ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা গেলে বন্দরের পরিচালন দক্ষতা ও হ্যান্ডলিং বৃদ্ধি পাবে বলেও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বরাবর ৯ দফা দাবি পেশ করেছেন। তার মধ্যে বিভিন্ন ফলমূল, বিশেষ করে এই সময়ে প্রয়োজনীয় ভিতামিন সি সমৃদ্ধ মাল্টা, কমলা ইত্যাদি বন্দর থেকে দ্রুত ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা, এবং জীবাণুমুক্ত করার জন্য কোয়ারেন্টিন ও রেডিয়েশন পরীক্ষা করতে হবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদি ইউটিলিটি বিল সারচার্জবিহীনভাবে পরিশোধ করার ব্যবস্থা করা, আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি, সকল টার্ম লোনের ইন্সটলমেন্ট থেকে ৯০ দিনের জন্য রিশিডুয়েল করা, স্বল্প দিনের মূলধনের সুদ ৯০ দিনের জন্য মওকুফ করা, ১ মাসের গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করা, জরুরি ঔষুধ, চিকিৎসা সামগ্রীও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা।
কাস্টমস
চট্টগ্রামের কাস্টমস হাউসের মাধ্যমে দেশের ৮০ শতাংশ রাজস্ব আদায় হয়। চিটাগং চেম্বারসূত্র জানাচ্ছে, করোনাকালে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস ভালো সার্ভিস দিয়েছে। তবে এক্সপোটাররা 'এসাইকুইজা ++'-এ পার্সিয়াল শিপমেন্ট ইনপুট দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, কাঁচামাল আমদানিকারকরা আইজিএম (ইমপোর্ট জেনারেল মেনিফেস্ট) কারেকশনের ক্ষেত্রে কমিশনার আমদানি নিয়ন্ত্রক দপ্তরের 'অনাপত্তি পত্র' চাচ্ছেন, যা আগে প্রচলিত ছিল না। কাস্টমসে জনবল ও সিস্টেমে ডেভেলপ করা প্রয়োজন।
বৃহৎ শিল্প- ইস্পাত, সিমেন্ট, অবকাঠামো, রিসাইক্লিং
চট্টগ্রামে দেশের প্রথম সিইপিজেড স্থপিত হয় ৮০-এর দশকে। এখানে কর্ণফুলী ও কোরিয়ান ইপিজেড রয়েছে। তাছাড়া বিডাসূত্র জানাচ্ছে, বর্তমানে হান্ড্রেড পারসেন্ট দেশীয় শিল্পের সংখ্যা হচ্ছে ১১৯৯টি, যৌথ বিনিয়োগে রয়েছে ৩৫টি। অন্যদিকে, শতভাগ বিদেশি ২৩টি।
এক্ষেত্রে বিশেষ করে অবকাঠামো খাতে শিল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে বিএসআরএম, জিপিএইচ ইস্পাত, কেএসআরএম, একেএস, গোল্ডেন ইস্পাত, বায়েজিদ, সীমা, শীতলপুর, আরএসএম, সালেহ স্টিল। আরও রয়েছে প্রায় ৬টি ম্যানুয়েল প্রতিষ্ঠান, যদিও এরা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। তাছাড়া জিপিএইচ ইস্পাত কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, অস্ট্রিয়ার প্রাইমেটালসের নতুন প্রযুক্তি নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় ও এশিয়ার প্রথম কোয়ান্টাম ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেস প্রযুক্তি দিয়ে ক্লিনেস্ট ও পিউরেস্ট স্টিল উৎপাদনের জন্য হট ট্রায়াল শুরু করেছে।
জানা গেছে, নতুন কারখানা পূর্ণ সক্ষমতায় চালু হলে জিপিএইচ ইস্পাতের এসএম বিলেট উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় ৬ গুণে উন্নীত হবে। কোম্পানির আগের কারখানাতে বার্ষিক বিলেট উৎপাদন ক্ষমতা ১ লাখ ৬৮ হাজার টন। সম্প্রসারিত নতুন কারখানায় উৎপাদন হবে ৮ লাখ ৪০ হাজার টন বিলেট। সব মিলিয়ে বিলেট উৎপাদনের ক্ষমতা বেড়ে হবে ১০ লাখ ৮ হাজার টন।
অন্যদিকে, এমএস রড ও মিডিয়াম সেকশনের উৎপাদন ৭ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।
সিমেন্ট ম্যানুফেকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা হাকিম আলী বলেছেন, চট্টগ্রামে বর্তমানে আরামিট, এস আলম, শাহ সিমেন্ট, ডায়মন্ড, কনফিডেন্স, রয়েল, প্রিমিয়ার রুবি, এনজিএস, মোস্তফা হাকিম-এর সিমেন্ট ফ্যাক্টরি রয়েছে। গত ৫ মাস ধরে ডেলিভারি পরিবহন ও রাজমিস্ত্রি সংকটের কারণে তাদের যথেষ্ট আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তবে গত ২ মাসে তারা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে।
বাংলাদেশে লোহার খনি খ্যাত চট্টগ্রামে শিপ রিসাইক্লিং অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, এদের সিস্টার কন্সার্ন-সহ ১৬১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা জানাচ্ছে, ব্যাংক লোন অ্যাডজাস্ট করার জন্য করোনার আগে বেশি দামে কেনা জাহাজগুলো এখন কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে আশার বিষয়, ৪০-৪৫ টি নতুন জাহাজ আসছে।
মিরাসরাইয়ে ভ্যাট তল্লাশি কেন্দ্র
দেশের অনান্য শিল্পাঞ্চলের মহাসড়কগুলোতে ভ্যাট তল্লাশি কেন্দ্র স্থাপন করলে সরকারের রাজস্ব আয় বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। চট্টগ্রামের শিল্পকারখানার উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন খরচে সমতা আসবে। কেউ কোনো রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পাবে না এবং দেশ উপকৃত হবে।
বড় দারোগা হাট এলাকায় গাড়ির ওজন পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন
দেশের সকল শিল্পাঞ্চলের সড়কগুলোতে গাড়ির ওজন পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করা হোক। যেমন- নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা, টাংগাইল, ময়মনসিংহ ইত্যাদি। এতে সারা দেশের রাস্তার মান ভালো থাকবে।
রপ্তানি
বিজিএমইএ'র প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এ সালাম জানিয়েছেন, ইপিজেড-সহ আরএমজি সেক্টরে তিন শতাধিক কারখানা চালু হয়েছে। সরকার শুরুতেই তাদের প্রণোদনা দিয়েছে। চট্টগ্রামে চা পাতার উৎপাদন আশাব্যাঞ্জক বলে গণমাধ্যম জানিয়েছে। আমাদের অতি অবশ্যই এক্সপোর্ট বাস্কেটে নতুন নতুন আইটেম যোগ করতে হবে।
রপ্তানি বাড়িয়ে বিলাসদ্রব্য আমদানি কমাতে হবে। কীভাবে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ঘাটতি পূরণ করা যায়, তা ভাবতে হবে। রপ্তানিযোগ্য পণ্যের বহুমুখিকরণ হলো এ সংকট থেকে উত্তরণের অন্যতম উপায়।
আমরা ইতোমধ্যেই ওষুধ, চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্যাদি, ইস্পাতজাত সামগ্রী, পাটের তৈরি চট, বস্তা, চা, হিমায়িত মাছ, প্রক্রিয়াজাত শাক-সবজি, মাংস ও বিভিন্ন ধরনের অপ্রচলিত দ্রব্য রপ্তানির মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ করতে পারি। শ্রমশক্তি রপ্তানির ঘাটতি পূরণের জন্য আমরা দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শ্রমিক বিদেশে পাঠানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে পারি। এজন্য কোনো প্রাইভেট সেক্টরের ওপর এ দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া যায়।
অ্যাগ্রোবেইজড সেক্টর ও খাদ্য নিরাপত্তা
দেশে খাদ্যশস্য, তথা- চাল, গম, ভুট্টা মিলে উৎপাদন প্রায় ৪১৫ লাখ মেট্রিক টন। তার সঙ্গে আলুর উৎপাদন প্রায় ১০০ লাখ টন, মাছ ৪৫ লাখ টন, মাংস ৬২ লাখ টন; আরও রয়েছে ডিম, দুধ, ফল, শাকসবজি ইত্যাদি।
অন্যদিকে, চালের গড় মাসিক চাহিদা ২১ লাখ টন এবং বছরে ২৫২ লাখ টন। এবার ফলন নষ্ট হয়নি। কৃষক তার ধানের সিংহভাগ ঘরে তুলতে পেরেছেন।
১৮ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ
মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ পৃথিবীর চতুর্থ স্থানে। এসব সাফল্য ইতোমধ্যে আমরা অর্জন করেছি। শাক-সবজি উৎপাদনেও আমাদের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়া দেশীয় ফল- আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, কলা ছাড়াও আমাদের কৃষকরা বর্তমানে মাল্টা, কমলা, স্ট্রবেরি, ড্রাগনসহ নানা জাতের ফল উৎপাদন করছেন, যা দেশীয় ভোক্তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
তবে আশার বিষয়, বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক সেক্টর একটা ভালো অবদান রাখতে পারবে। করোনাকালেও নগরীর পথে পথে সবজি, মৌসুমি ফল সমূহের অসংখ্য সমাহার আমরা লক্ষ্য করেছি। এটা আশাবাদের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন, এক ইঞ্চি জমি ও জলাভূমি অনাবাদী রাখা যাবে না। আমরা বাংলাদেশের বেসরকারি খাত কৃষিখাতকে শক্তিশালী করবার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
চট্টগ্রামের কথাই যদি বলি, ডেইরি পোলট্রি ফার্মগুলো, চন্দনাইশের লেবু, পেয়ারা (১ হাজার ২৫০ পাহাড়ে চাষ হয়) বা কুটির শিল্প অথবা আখ শিল্প, পার্বত্য চট্টগ্রাম খনিজ ও বৃহত্তর চট্টগ্রামে অ্যাগ্রো বেইসড সেক্টরগুলো আছে- তা উৎপাদন ও বিপণনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। এর প্রকিউরমেন্ট ও সাপ্লাইচেইন স্মুথ করতে হবে। উৎপাদকরা যেন ভালো দাম পান, তার ব্যবস্থা করতে হবে।
ইউনিয়ন ভিত্তিক গোডাউনের ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণত চট্টগ্রামে রাজশাহী থেকে আম আসে। সুখের বিষয়, পেড্রলো গ্রুপ, মেরিডিয়ান গ্রুপ, ক্লিপটন গ্রুপ- অনেকে এখন আম, আঙুর ও মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের ফল উৎপাদন করছে। বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিয়ে অ্যাগ্রো বেইসড সেক্টরকে শক্তিশালী করতে হবে।
কক্সবাজারের পর্যটন ছাড়াও মৎস্য, শুঁটকির বাজার এবং এর সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার ওপর অধিক মনযোগী হতে হবে। এদের প্রণোদনা দিতে হবে, যেন স্মুথ ক্যাশ ফ্লো পায়। রোহিঙ্গা শরণার্থী, মানব পাচার রুট হিসেবে এই কক্সবাজার-টেকনাফ এলাকা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিক্ষেত্রে মাত্র ৫ শতাংশ সুদে কৃষিক্ষেত্রের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার উদ্দীপনা প্যাকেজ বিতরণ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই প্যাকেজের সাহায্যে সরকার ৯৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার বিভিন্ন উদ্দীপনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যা জিডিপির ৩.৩ শতাংশ। যদিও এই উদ্দীপনা প্যাকেজ কোভিড-১৯-এর আর্থিক ক্ষতি পূরণের প্রত্যাশা করে, তবে কোনোভাবেই এ মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক ক্ষতি পূরণ করতে পারবে না।
ই-কমার্স
আইটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২১তম স্থানে রয়েছে। করোনা নিধানকালে অনলাইন বাণিজ্য বা ডোর টু ডোর সার্ভিস বেড়েছে। সাধারণত ব্র্যান্ডেড অনলাইন শপিং সাইটগুলোর মধ্যে দারাজ, ইভ্যালি, ফুডপান্ডা, সহজ প্রভৃতির নাম উল্লেখ্য করা যায়। এক্ষেত্রে করোনাকালীন সামগ্রী ঔষধ, মাস্ক, অক্সিমিটার, সেনিটাইজার, ফেইসশিল্ড- এগুলো বেশ বাজার পেয়েছে।
প্রিয় পাঠক, ফেসবুক খুললেই আপনারা দেখবেন, সুন্দরি মালিকনগণ তাদের ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশি ড্রেসের সচিত্র ডেমনেস্ট্রেশন দিচ্ছেন। ঈদ-চাঁদ ছাড়াও তারা সারা বছর জামা, জুতো, জুয়েলারি, গৃহসজ্জার সামগ্রী, বিশেষ করে উচ্চবিত্ত ছাড়াও মধ্যবিত্ত এবং যাদের করোনাকালে অবসর রয়েছে, তারা বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করছেন।
তরুণ উদ্যোক্তাদের হাতে করোনাকালেও ই-কমার্স ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। এগুলোর মধ্যে সিলেটের 'কি লাগবে', ঢাকা-চট্টগ্রাম-কুমিল্লাভিত্তিক 'খাস ফুড', 'ম্যাক বাই', রংপুরভিত্তিক 'বিডি এসিস্টেন্ট' উল্লেখ্যযোগ্য। তাছাড়া চট্টগ্রামের তরুণ উদ্যোক্তারা আম, ইলিশ, মধু, কনজিউমার ও গ্রুসারি আইটেম, এমনকি চট্টগ্রামে একজন সংস্কৃতিকর্মী 'কাঁকড়া এক্সপ্রেস' নামে জীবিত কাঁকড়া ও রন্ধনকৃত কাঁকড়া সরবরাহ করছেন।
অনেকে হোমমেড ফাস্টফুড আইটেম বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি সার্ভিস দিচ্ছেন। অতি আশার বিষয়, এই উদ্যোগের সঙ্গে চট্টগ্রামের কমপক্ষে ২০০ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা জড়িত। তবে সম্প্রতি কিছু ব্রান্ডেড প্রতিষ্ঠানের সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মানহীন পণ্য সরবরাহ করে গ্রাহক ঠকানোর ঘটনাও ঘটছে হরহামেশা। এক্ষেত্রে অনলাইন বিজনেস সরকারি রেজিস্ট্রেশনের আওতায় এনে প্রতারণার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নজরদারি বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।
স্বাস্থ্য খাত
চট্টগ্রামে ১০৭টি ডায়গোনস্টিক সেন্টার রয়েছে। আমরা দেখেছি, পরিবেশ অধিদপ্তর ২২টি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করেছে। অবশ্য এখন ৮৬ শতাংশ চিকিৎসক তাদের চেম্বার খুলেছেন। এটা আশার বিষয়। নিউ নরমাল ইকোনমিতে দেশের স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯-এর জন্য স্পেশাল কর্নার রেখে অনান্য রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
কোভিডের জন্য জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে বিনামূল্যে টেস্ট ব্যবস্থা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখতে হবে। স্বাস্থ্য সেবা ও রিসার্চে অগ্রাধিকার দিতে হবে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যন্ত করোনা টেস্ট ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। বেসরকারি ও এনজিওসমূহের সহায়তা নিতে হবে। এক্ষেত্রে অধিক বেসরকারি বিনিয়োগ দরকার।
বেশিরভাগ ঔষধ কোম্পানিগুলো ঢাকায় অবস্থিত। চট্টগ্রামে ইউনাইটেড, দেশ, এলবিয়ন, থেরাপিউটিক্স ছিল। কিন্তু এদের মধ্যে কয়েকটা প্রোডাকশনে নেই। গ্লাস্কো স্মিথকে ঢাকায় নিয়ে গেছে। সরকারের উচিত এখানে কয়েকটি ঔষধ কোম্পানি স্থাপনের জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া। সঙ্গে সঙ্গে অধিক হারে তাজ সায়েন্টিফিকের মতো সারজিক্যাল আউটলেট স্থাপনের জন্য দাবি জানাচ্ছি। বেসরকারি খাতে যেন অধিক হারে এসবের বিপণন হয়, তার ব্যবস্থা করা উচিত।
ট্রেড
খাতুনগঞ্জভিত্তিক বিভিন্ন আইটেম, যেমন- রসুন, পেঁয়াজ- এসবের স্বাভাবিকভাবেই আমদানি কম হওয়াতে দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। আবার কমেও আসছে। এক্ষেত্রে ট্রেড বডি সমূহ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তবে আমরা আবারও বলব, এক সময় দেশীয় রবিশস্য, যেমন মসলার জন্য চট্টগ্রাম খুব বিখ্যাত ছিল। অ্যাগ্রোবেইসড সেক্টরে তাই মসলা জাতীয় পণ্যগুলো অধিক উৎপাদনের জন্য বৃহত্তর চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত ভূমি রাখা উচিত এবং সেখানে চাষিদের প্রণোদনা দেওয়া দরকার।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির চট্টগ্রাম শাখার ও ডেকোরেটরস মালিক সমিতির নেতা হাজী সাহাবুদ্দিন জানাচ্ছেন, তাদের ২২৫টি দোকান মালিক সমিতি রয়েছে। তাদের করোনাকালীন সময়ে ১০০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রামে ১৫০টি কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে। ২৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তাদের দাবি। ১৫০ জন ডেকোরেশন মালিক রয়েছেন। তারা ১৫০ কোটি টাকার ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।
টেরিবাজার মালিক সমিতির নেতা এম. এ. মান্নান জানাচ্ছেন, তারা ৪ শতাংশ হারে ২০০০ কোটি টাকার প্রণোদনা চাচ্ছেন।
ইনফরমাল সেক্টর
গত শতাব্দীর ৮০-এরর দশকে আমার এক রাজনৈতিক প্রশিক্ষক বলেছিলেন, বাংলাদেশের ৭৬ শতাংশ মানুষের স্থায়ী কোনো পেশা নেই। তারা কখনো ধান কাটেন, কখনো সবজি চাষ করেন, কখনো মাছ ধরেন। কখনো দিনমজুর, কখনো বড়লোকের তল্পিবাহক হিসেবে কাজ করেন। অন্য সময়গুলো তারা চা-সিগারেট খেয়ে আর আড্ডা দিয়ে সময় কাটান। এর ফলে বেকারত্ব তৈরি হয়েছে।
এর সঙ্গে যোগ হবেন করোনাভাইরাসের কারণে আটকে পড়া মধ্যপ্রাচ্য-অ্যামেরিকাগামী প্রবাসীরা। এদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই প্রক্রিয়াতে যেন জনপ্রতিনিধি বা মধ্যস্থকারীরা লুট করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
সকল ধরনের হকার, ভাসমান ব্যবসায়ী, কামার, কুমার, গৃহকর্মী, রাজমিস্ত্রি, রিকশা ও ক্ষুদ্র পরিবহন চালক, প্রাইভেট সিকিউরিটি, বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহের টোকাইয়ের কথা ভাবতে হবে।
রিয়েল এস্টেট সেক্টর
চট্টগ্রামে ৭-৮টি ব্র্যান্ডেড রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ছাড়াও প্রায় ৪০টি কোম্পানি কাজ করছে। করোনাকালে তাদের প্রজেক্টের কাজ পিছিয়ে গেছে। ক্লায়েন্ট-ল্যান্ড ওনার্সদের মধ্যে সমস্যা হচ্ছে। অনেকে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না।
সরকার অবশ্য ইতোমধ্যে ৪ শতাংশ ভর্তুকি দিয়ে এক বছরের জন্য ব্যাংক ঋণ সুবিধা দিয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে, তারা এর মাধ্যমে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন।
ফ্রোজেন ফুডস
চট্টগ্রামের ফ্রোজেন ফুডসের সংখ্যা করোনার আগে থেকেই অর্ধেক কমে ২২টার মতো রয়েছে। কক্সবাজারে যে ট্র্যাডিশনাল হ্যাচারি রয়েছে, এগুলোকে সায়েন্টিফিক উপায়ে রক্ষণাবেক্ষণ করা না গেলে উৎপাদন ব্যাহত হবে।
কর্মসংস্থান
আইএলও তথ্যভাণ্ডারের মতে, বর্তমানে বাংলাদেশের কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা ৬ কোটি ২৫ লাখ। তাছাড়া আমাদের অর্থনীতিতে বেকারত্বের হার ৪.২৯ শতাংশ (২০১৯)। তার সঙ্গে প্রতি বছর ২০-২২ লাখ শিক্ষিত বেকার যুক্ত হচ্ছেন এই তালিকায়।
দেশের বাইরে কাজ করেন প্রায় এক কোটি মানুষ। তাদের মধ্যে কয়েক লাখ দেশে ফিরেছেন; অনেকেই চাকরি হারিয়ে দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন। এরা আবার শিগগিরই সেসব দেশে ফিরতে পারবেন বলে মনে হয় না।
উপরোক্ত পরিসংখ্যানের প্রায় ৫০ শতাংশ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য ও অ্যামেরিকা প্রবাসী। করোনাসৃষ্ট মহামারি অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের মোট কর্মজীবী মানুষের বড় একটা অংশকে কর্মহীন করে ফেলেছে।
সরকারি প্রকল্প
সুসংবাদ হচ্ছে, মিরাসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু ইপিজেডের কাজের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। সন্দ্বীপেও একটি ইপিজেড করার চিন্তা করছে সরকার।
চট্টগ্রামের বন্দরের প্রকল্প সমূহ- দোহাজারি-কক্সবাজার রেল লাইন, মাতারবাড়ি প্রকল্প, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প, এলজিআরডি, চট্টগ্রাম ওয়াসা, অর্থাৎ মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ যেন থেমে না থাকে, তার ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশ থিংকিং বিগ: ব্লু ইকোনমি
মূলত যে ব্লু ইকোনমির কথা বলা হচ্ছে, তা চট্টগ্রাম সংশ্লিষ্ট বঙ্গোপসাগরকে নিয়ে। এর জলসীমা নিস্পত্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ধন্যবাদ প্রাপ্য। তবে এ ক্ষেত্রে করোনাকালে আমাদের স্থলভাগের চেয়ে ব্লু ইকোনমির ওপর আরও অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। যাতে করে ফিশিং, মেরিন, মিনারেল, মেরিন রিনিয়েবল এনার্জি, মেরিন ম্যানুফেকচারিং, শিপিং পোর্ট অ্যান্ড মেরিন লজিস্টিকস, মেরিন টুরিজম অ্যান্ড লেইজার, মেরিন কনস্ট্রাকশন, মেরিন কমার্স, মেরিন আইসিটি, এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের সর্বোচ্চ আউটপুট নেওয়া যায়।
সবশেষে এসে অতি অবশ্যই একটি আশাবাদী বক্তব্য পেশ করতে চাই। করোনার 'সেকেন্ড ওয়েভ' চলছে। ৬ সেপ্টেম্বর বিসিএসআইআর (বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ) জানিয়েছে, বাংলাদেশে করোনা জীবাণুর বিচিত্র রূপান্তর হচ্ছে। তারা ৫০টি গবেষণা সংস্থা থেকে বিষয়টি অবহিত করেছে।
তবু আমরা আশাবাদী, বাংলাদেশের সাহসী ও শ্রমজীবী মানুষ এটা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। এবং আমাদের কাম্য হবে একটি পলিটিক্যাল ইকোনমি নয় (কার্ল মার্কস ও এডাম স্মিথ), একটি নিউ নরমাল ইকোনমি।
তথ্যসূত্র:
১। মালেশিয়ায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর স্টাডি
২। চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি থেকে প্রাপ্ত তথ্য
৩। সংশ্লিষ্ট সকল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য
৪। BIDA, চট্টগ্রাম
৫। মার্কস-এর পুনর্বিবেচনা, কলকাতা
৬। অনলাইন ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য
৭। জিপিএইচ জার্নি, সংখ্যা-০২