জো বাইডেনের ১০০ দিন
সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তিতে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । যুক্তরাষ্ট্রে বহুদিন থেকে প্রচলিত একটি প্রথা হলো; তাদের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিনের মাথায় কি অর্জন করেছেন তার একটি বর্ণনা প্রকাশ করা। তার আগে দেখা নেওয়া যাক আনুষ্ঠানিকভাবে যেদিন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণ করলেন, সেদিন তাঁর বক্তৃতায় কি ছিল?
গত ২০ জানুয়ারির শপথের দিন জো বাইডেনের বক্তৃতার আগে ৬ই জানুয়ারি মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন যখন ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার শিকার হয় তখন ধারণা করা হচ্ছিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার হাতবদল সম্ভবত সহজ রাস্তায় হবে না। ৬ জানুয়ারির ব্যাপক সন্ত্রাসের কারণে বিশ্বে এরকম একটি উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে কিনা?
ইতিহাস সৃষ্টি করা ওই তারিখের পরবর্তী সময়ে মার্কিন রাজনীতিতে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে বহু ঘটনা ঘটেছে। রিপাবলিকান সদস্যদের অনেকেই ট্রাম্পের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ফলে আস্তে আস্তে ধারণা স্পষ্ট হচ্ছিল বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান স্বাভাবিক নিয়মেই হবে। ফলে ২০ জানুয়ারি জো বাইডেনের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়। শপথের দিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট যে ২১ মিনিটের বক্তৃতা দেন, তার প্রাণকেন্দ্র ছিল জাতীয় ঐক্যের প্রশ্ন, এরপর থেকে জো বাইডেন তার প্রতিটি বক্তৃতার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্র। সাধারণভাবে এই ধরনের বক্তৃতায় দেশের অন্যান্য আভ্যন্তরীণ বিষয় যেমন থাকে, তেমনি থাকে আন্তর্জাতিক বিষয়। কিন্তু, জো বাইডেন এবার সেই রাস্তায় হাঁটেননি তার বক্তৃতার পুরোটাই ছিল জাতীয় ঐক্য।
বৈশ্বিক অঙ্গনে আমেরিকাকে পৃথিবীর সামনে নতুনভাবে তুলে ধরার সংকল্প করেন নতুন রাষ্ট্রপতি। তার বক্তৃতার প্রতিটি বাঁকে বোঝা যাচ্ছিল মার্কিনীরা জাতি হিসেবে কতটা বিভক্ত হয়ে পড়েছে, এবং প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাইডেন তার সমস্ত চিন্তার কেন্দ্রে বিষয়টিকে স্থান দিয়েছেন।
দেশটির ইতিহাসে ভারতীয় বংশদ্ভূত কোনো নারী প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন ২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে। এজন্য অবশ্যই গৌরবের দাবিদার ডেমোক্রেটিক পার্টি। কমলা হ্যারিসের বিজয়কে কেবল একটি বাক্যের মাধ্যমে জো বাইডেন উপস্থাপন করেন। কিন্তু, জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে দীর্ঘ ২১ মিনিট বক্তৃতা দেন।
জো বাইডেন গত ১০০ দিনে মোট ৬০টির বেশি নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষর করেছেন। এই ৬০ নির্বাহী আদেশের মধ্যে চব্বিশটি ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত সরাসরি পাল্টে দেওয়ার। এরমধ্যে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য দিক আছে, যা জো বাইডেন তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে বারবার তুলে ধরেছেন। যেমন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেক্সিকোর সাথে সীমান্তে দেওয়াল। মেক্সিকো সীমান্তের এ দেওয়াল নির্মাণ বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি, যা বাস্তবায়নও করেছেন। আবার মুসলিম প্রধান কয়েকটি দেশ থেকে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ বাতিলও করেন আরেক আদেশে। সমকামীদের সশস্ত্র বাহিনীতে গ্রহণ না করার সংক্রান্ত ট্রাম্পের সিদ্ধান্তও বাতিল করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রকে ফিরিয়ে এনেছেন প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে।
বাইডেন ২৪টি বিষয়ে সরাসরি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে পাল্টে দিলেও তা রিপাবলিকান পার্টি দ্বারা সমর্থিত হয়নি। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের অভিযোগের সময়েই রিপাবলিকান দলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশাল অনুগামীর সংখ্যা দেখা যায়।
বাইডেনের গত ১০০ দিনে যে উল্লেখযোগ্য অর্জন কিংবা বাস্তবায়ন দেখা যায় তা হলো; জাতীয় কোভিড টিকা কর্মসূচি এবং মাস্ক সংক্রান্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানের পরিবর্তন করা। ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে ইউরোপিয় দেশগুলোর সাথে ট্রাম্পের যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে বাইডেন এখনো তা নিরসন করে ওই চুক্তিতে ফেরত যেতে পারেননি কিংবা যাননি। যদিও তার পূর্বঘোষিত অঙ্গীকার ছিল ইরানের এই চুক্তিতে ফেরার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র নতুন এক শর্ত জুড়ে দেওয়ায় এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। শর্তটি হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তিতে থাকা অবস্থায় ইরান যে বিষয়গুলো মেনে চলছিল তা সবার আগে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাহলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিতে ফেরত যাবে। বিষয়টি যেন জো বাইডেনের একটি ইচ্ছাকৃত সংকট সৃষ্টি করা। আসলে এর মাধ্যমে ইসরায়েলকে নিরাপদ রাখতে ইরানকে স্বাভাবিক অর্থনীতিতে ফিরতে না দেওয়ার ষড়যন্ত্রই দেখাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
জো বাইডেন আন্তর্জাতিক আরো যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তার অন্যতম হচ্ছে ট্রাম্পের চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধকে আরেকটু বাড়িয়ে নেওয়া এবং রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করা। ট্রাম্পের শাসনামলে রাশিয়ার সঙ্গে তার প্রশাসনের সম্পর্কটা একটি পর্দার অন্তরালের ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ককে নতুন মাত্রা যোগ করে বাইডেন এক উত্তেজনাকর অবস্থার সৃষ্টি করেছেন। সে তুলনায় সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া জো বাইডেনের জাতীয় ঐক্যর উদ্যোগ ততোটা অগ্রসর হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছুদিন আগেও আবার সেই বর্ণবাদী পুলিশী হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় প্রশ্নের নানান মত ও পথ নিয়ে আলোচনা চলছে, ঠিক তখন ডেমোক্রেটিক পার্টির সামনে হাজির হয়েছে একটি ঘোরতর দুঃসংবাদ। জনসংখ্যার নতুন জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর মধ্যে আভ্যন্তরীণ অভিবাসনের চিত্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সভার ৪৩৫টি আসনের পুনর্বিন্যাস হয়েছে। দেশটির সংবিধান বলে ন্যূনতম একটি আসন থাকতে হবে সকল রাজ্যে। কিন্তু, রাজ্যের জনসংখ্যার ভিত্তিতে এই আসন বন্টন হবে। প্রতি ১০ বছর অন্তর অন্তর জনসংখ্যার ভিত্তিতে রাজ্যগুলোর আসন বন্টন হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের আগে থেকেই এক নতুন অবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রিপাবলিকান সর্মথকরা ব্যাপকহারে রিপাবলিকান রাজ্যগুলোতে স্থানান্তরিত হচ্ছিল অর্থাৎ নিজের রাজ্য থেকে অন্য রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে আন্তঃরাজ্য অভিবাসন করেছে।
এই অভিবাসন প্রক্রিয়ার সাথে রাজনীতি না অর্থনীতির কারণ জড়িত তা এখনো স্পষ্ট নয়। এভাবে অভিবাসন করার কারণে বেশকিছু বর্তমান ডেমোক্রেট শাসিত রাজ্যের আসন সংখ্যা পুনর্বিন্যাস হয়ে কমে যাচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম নিউইয়র্ক ও ক্যালিফোর্নিয়া।
এর বাইরে আরো তিনটি রাজ্যের আসন সংখ্যা কমে যাবে যা বর্তমান ডেমোক্র্যাট পার্টি নিয়ন্ত্রিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই দীর্ঘ ইতিহাসে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যটির আসন সংখ্যা প্রথমবারের মতো কমবে। মজার ঘটনা হলো; যে রাজ্য থেকে কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সেই রাজ্যের জনসংখ্যা কমে যাওয়া অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। অন্যদিকে, রিপাবলিকান রাজ্য বলে খ্যাত ফ্লোরিডা, টেক্সাসসহ আরো তিনটি রাজ্যে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, এর মধ্যে টেক্সাসের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে দুইটি। মোট ৭টি আসনের আন্তঃরাজ্য পুনর্বিন্যাস হবে এবং দেখা যাচ্ছে সবকটি ডেমোক্রেট প্রধান রাজ্য থেকেই এই অভিবাসন রিপাবলিকান প্রধান রাজ্যে হয়েছে।
আপাতদৃষ্টিতে এতে রিপাবলিকান দল লাভবান হচ্ছে বলেই ধারণা করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০২২ নভেম্বরের দিকে, তখন ডেমোক্রেট পার্টির জন্য প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। জো বাইডেনের নির্বাচনের বছর ২০২০ সালে প্রতিনিধি পরিষদ বা কংগ্রেসে ডেমোক্রেটিক পার্টি তাদের অনেক আসন হারিয়েছে। অবশ্য এখনও অল্প কয়েকটি আসনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তারা কংগ্রসকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
অভিবাসনের এই জরিপের ফলে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ ও ধর্মতত্ত্ব যে মার্কিন রাজনীতিতে অনেক বেশি সম্পৃক্ত এবং এসব মনোভাবের মানুষ আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত আছে- তা স্পষ্ট উঠে আসে। যে কারণে তারা নিজ এলাকা, শহর, রাজ্য ত্যাগ করে রিপাবলিকান রাজ্যে অভিবাসী হচ্ছে। সম্ভবত এই অভিবাসনের পুরো প্রক্রিয়াটি বিগত নির্বাচনের আগে সম্পন্ন হয়েছে, এখন এই অভিবাসনের ফলে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে রিপাবলিকানদের কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া লক্ষ্য কিনা- সেটিই এখন মূল্যায়নের দিক। এই রাজনৈতিক কারণেই যদি তারা অভিবাসন করে থাকে তাহলে বুঝতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও কয়েক দশক যাবত নানান ভাবে বিভক্ত থাকবে, ধর্ম-বর্ণ সবকিছুতেই।
বর্ণবাদী রাজনীতি বিশ্বের নানা প্রান্তে সামনে চলে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ। পাশাপাশি ভারত হচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ। ভারতে ধর্মীয় বর্ণবাদ ব্যাপকভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আরেকদিকে তুরস্ক ইউরো-এশিয়া সম্মিলনের একটি দেশ। দীর্ঘকাল ধর্মীয় শাসন দ্বারা ইউরোপের একটি অংশকে দখল করেছিল তুর্কিরা ।গত শতাব্দীতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ওসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের পর তারা সেই ধর্মীয় অবস্থান থেকে সরে এসে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদেরকে তুলে ধরেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রাপ্ত তুর্কি ধর্মীয় নেতা ফেতহুল্লাহ গুলেনের এক অভ্যুত্থানের চেষ্টার পর এরদোগান সরকার পুরনো ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থান থেকে বেরিয়ে আবার দেশটিকে ধর্মীয় দর্শনের ভিত্তিতে সেই পুরোনো রাস্তায় নিয়ে যাচ্ছে। এর বাইরে পোল্যান্ড-সহ আরো কয়েকটি ইউরোপিয় দেশের রাজনীতিতে ধর্ম জোরালোভাবে সামনে আসছে। দীর্ঘদিনের পৃথিবীর মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজের প্রভাব অন্য দেশগুলোতে যে পড়বে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তানের মাটিতে যুদ্ধ পরিচালনা করেন, তবুও অবশেষে পরাজয়ের ভার ঘাড়ে নিয়ে আফগান ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাইডেনে। ১০০ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশটি থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে সন্দেহ করা হচ্ছে যে আগামী দিনে আফগানিস্তানের মাটি আবার তালেবানদের দখলে যাবে এবং নারীদেরকে সেই পুরনো তালেবানি যুগের মতো অন্দরমহলে অন্তরীণ করা হবে।
সব মিলিয়ে, জো বাইডেনের ১০০ দিনের শাসনকাল মূল্যায়ন করলে যা বেরিয়ে আসে, তা হলো তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয় সর্বনিম্ন জনপ্রিয়। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয় সর্বনিম্ন জনপ্রিয়তায় চিহ্নিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, মাত্র ৫২ শতাংশ জনপ্রিয়তা নিয়ে জো বাইডেন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। আর আগামী দিনগুলোতে বাইডেনের সামনে উল্লেখযোগ্য কোন অর্জন এখনও দেখা যাচ্ছে না, ফলে ২০২২ সালে রিপাবলিকান দলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্ব আবার প্রতিষ্ঠিত হবে এই ধারণা বদ্ধমূল হয়।
- লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক