বেতন দিতে না পারায় শাহরুখকে তাড়িয়ে দিতে চেয়েছিল স্কুল!

অভাবে বড় হয়েছেন, তাই পয়সার মূল্য বোঝেন- বারবারই বলেন শাহরুখ খান। ঠিক কতটা দুর্দশায় দিন কেটেছে, এক সাক্ষাৎকারে নিজেই তা ভাগ করে নেন বলিউডের 'বাদশা'।
সাক্ষাৎকারে কিং খান নিজেই তুলে ধরেন তার ছোটবেলার দিনগুলোর কথা। পরিবারের সঙ্গী নিত্য অনটনের কাহিনি। তিনি বলেন, ''একবার আমার স্কুলের বেতন দিতে পারেনি বাবা-মা। স্কুল হুমকি দিয়েছিল আমায় তাড়িয়ে দেবে। তোশকের তলায় একটু একটু করে জমানো পয়সা দিয়ে তখন আমার স্কুলের বেতন দিয়েছিলেন তারা।"
শুধু তা-ই নয়। ওই সাক্ষাৎকারেই শাহরুখ জানান, তার বাবার চিকিৎসায় ২০টি দামি ইঞ্জেকশন দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তা কেনার মতো টাকা ছিল না তাদের হাতে। শেষমেশ লন্ডন-প্রবাসী এক ফুপু ৮টি ইঞ্জেকশনের খরচ দেন। সে ক'টাই দেওয়া হয় শাহরুখের বাবাকে। অভিনেতার আক্ষেপ, ''আজও জানি না, বাবা টাকার অভাবে ইঞ্জেকশন না পেয়ে মারা গিয়েছিল, নাকি পৃথিবীতে থাকার মেয়াদ ফুরিয়েছিল বলে।''
জীবনে কখনও কারও কাছে একটি পয়সা ধার করেননি। অথচ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে তাকে। সাক্ষাৎকারে 'বাদশা' বলেন, "রাজারা কি কারও সাহায্য চায়? উল্টো নিজের সবটুকু দিয়ে অন্যকে সাহায্য করে। বলিউড তো আমায় রাজা বলে। আমিও তাই রাজার মতোই থাকতে চেষ্টা করি।''
অভাব দেখেছেন, তাই এখনকার বিত্ত-বিলাসও তাকে পাল্টে দিতে পারেনি। এমনটা নিজেই মনে করেন শাহরুখ। কিং খান শুধু চান, তার সন্তানেরা ভাল থাকুক। তাদের মাথার উপরে যেন ছাদ থাকে সবসময়।
- সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা