অস্কারজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা সিডনি পটিয়ার আর নেই
মারা গেলেন অস্কারজয়ী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতা সিডনি পটিয়ার। সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে পটিয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বাহামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেড মিচেলের কার্যালয়। মৃত্যুর সময় অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
১৯৬৩ সালে 'লিলিস অব দ্য ফিল্ড' চলচ্চিত্রের জন্য সেরা অভিনেতা শাখায় একাডেমি অ্যাওয়ার্ড জয় করেন পটিয়ার। অভিনেতা পরিচয়ের বাইরেও তিনি ছিলেন একজন স্বনামধন্য মানবতাবাদী ও কূটনীতিক।
হলিউড তারকার সম্পর্কে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, 'পটিয়ার একজন মর্যাদাসম্পন্ন, একক প্রতিভাবান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মানুষকে একাত্ম করতে চলচ্চিত্রের যে ক্ষমতা, সেটিকে তুলে ধরেছেন এবং নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের জন্য নতুন দ্বার খুলে দিয়েছেন।'
একাডেমি পুরস্কারজয়ী আরেক অভিনেতা ডেঞ্জেল ওয়াশিংটন বলেন, "পটিয়ারকে নিজের বন্ধু হিসেবে পরিচয় দিতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। তিনি একজন দয়ালু ব্যক্তি ছিলেন; বহু বছর আমাদের জন্য যে দরজা বন্ধ ছিল তা খুলে দিয়েছিলেন পটিয়ার। ঈশ্বর তার ও তার পরিবারের মঙ্গল ক্রুন।"
সিডনি পটিয়ার ফ্লোরিডার মিয়ামিতে ১৯২৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে বাহামার টমেটো ফার্মে বেড়ে ওঠা পটিয়ার ১৬ বছর বয়সে নিউইয়র্ক চলে আসেন।
পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে বড় পর্দায় আবির্ভাবের যাত্রাটা সহজ ছিল না পটিয়ারের। এ সময়টায় অভিনয়ের তালিম নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় বিচিত্র রকম কাজে যুক্ত হয়েছেন তিনি।
হলিউডে বর্ণবাদ প্রথাকে ভেঙে দিতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন পটিয়ার। ১৯৫৮ সালে 'দ্য ডেফিয়ান্ট ওয়ানস' ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রথম অস্কারের মনোনয়ন পান তিনি। এ ছবিতে প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এর ৫ বছর পরে 'লিলিস অব দ্য ফিল্ড' ছবি্তে পর্দায় হাজির হন। এ ছবিতে তার চরিত্রটি ছিল একজন কাজের লোকের, যিনি একজন খ্রিস্টান যাজককে মরুভূমির মধ্যে উপাসনালয় তৈরিতে সাহায্য করেন।
পটিয়ারের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ইন দ্য হিট অব দ্য নাইট, টু স্যার উইথ লাভ, গেস হু'স কামিং টু ডিনার, দ্য লাস্ট ব্রিকমেকার ইন আমেরিকা ইত্যাদি।
পটিয়ারের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বাহামার প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ ডেভিস শুক্রবার এক ফেসবুক লাইভে বলেন, "সিডনি পটিয়ারের মৃত্যুতে পুরো বাহামা শোকাচ্ছন্ন। কিন্তু শোক পালনের পাশাপাশি আমরা বাহামার একজন মহান ব্যক্তির জীবনকেও স্মরণ করছি।
সূত্র: বিবিসি