কোটিপতি গায়কের সাহায্যের আবদার, এক পোস্টেই ৩৮ কোটি!
টুইটার পোস্টে ভক্তদের কাছে টাকা চেয়েছিলেন মাল্টিমিলিয়নিয়ার আফ্রোবিটস তারকা ডেভিডো। নিছক মজা করেই টাকা চেয়েছিলেন নাইজেরীয়-আমেরিকান এই গায়ক। কিন্তু কে জানতো পোস্ট করার ৯০ মিনিটের মধ্যেই ৭৬,০০০ পাউন্ড উঠে আসবে তার তহবিলে! কিন্তু আক্ষরিক অর্থে হয়েছেও তাই, ডেভিডোর সেই পোস্ট এখন ভাইরাল।
ডেভিডোর আসল নাম ডেভিড অ্যাডেলেক। বুধবার টুইটারে তিনি পোস্ট করেন, "কেউ যদি আমাকে চেনেন, তাহলে নিশ্চয়ই জানেন যে আমি আপনাদের হিট গান উপহার দিয়েছি... এবার আপনারা আমায় টাকা পাঠান।" পোস্টের সাথে একটি নাইজেরীয় ব্যাংক একাউন্টের বিস্তারিত তথ্যও জুড়ে দেন তিনি।
এরপর ঘন্টা দেড়েকের মধ্যেই তার টুইটার ও ইনস্টাগ্রামের ৩১ মিলিয়ন অনুসারীর কাছে পৌছে যায় এই খবর। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন নাইরা (৭৬,০০০ পাউন্ড) তার একাউন্টে জমা করেছেন ভক্তরা। সেই ব্যাংক ডিপোজিটের একটি স্ক্রিনশটও এরই মধ্যে পোস্ট করেছেন ২৮ বছর বয়সী এই গায়ক।
ভিন্ন আরেকটি পোস্টে হাসির ইমোজিসহ ডেভিডো লেখেন, নিজের রোলস রয়েস গাড়িটিকে বন্দর থেকে ছাড়িয়ে আনার জন্য ১০০ মিলিয়ন নাইরা সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল তার।
ডেভিডোর আহ্বানে টাকা দেওয়ার খাতায় নাম লিখিয়েছেন যারা, তাদের অনেকে আবার ডোনেশনের স্ক্রিনশটও পোস্ট করেছেন। তবে কোটিপতি হওয়ার পরেও এ ধরনের প্রচারণা চালিয়ে চাঁদা আদায় করার সমালোচনাও করা হয়েছে নাইজেরীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এর পরপরই সবাইকে চাঁদা দিতে নিষেধ করে দেন ডেভিডো। একই সাথে গায়ক ফালজ থেকে শুরু করে লিস্টার সিটির নাইজেরীয় ফুটবলার উইলফ্রেড দিদি, কেলেচি লিয়ানাচো ও নাইজেরীয় রয়্যালসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এসব পোস্ট দেওয়ার ফাঁকে দুবাইয়ে বিলাসবহুল গাড়ি কেনার জন্য অপেক্ষারত ও ল্যাম্বরগিনি গাড়িতে বসা অবস্থার ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।
তবে নিষেধ করা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার রাতে নতুন এক স্ক্রিনশটে দেখা যায়, মাত্র দুদিনের মধ্যেই ডেভিডোর একাউন্টে জমা হয়েছে ১৮৪ মিলিয়ন নাইরা (৩৩৩,০০০ পাউন্ড)! লাগোসে নতুন একটি শো করার আভাসও দিয়ে রেখেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্ক্রিনশটগুলোতে দেখা যায়, বহু ভক্ত এই তারকার এক দশকের ক্যারিয়ার ও হিট গানগুলোর প্রতি সম্মান দেখিয়ে ডলার পাঠিয়েছেন।
তবে সমালোচকরা মনে করেন, এই কাজের মাধ্যমে যাদের সাহায্যের প্রয়োজন নেই, তাদেরকেও টাকা পাঠানোর জন্য অন্যদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কেউ কেউ আবার নাইজেরিয়া একটি অন্যায়-অরাজকতার রাষ্ট্র বলেও উল্লেখ করেছেন।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান