পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতু প্রকল্পকে ক্ষতিগ্রস্তকারী 'ষড়যন্ত্রকারীদের' চিহ্নিত করে তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হকের বেঞ্চ এ বিষয়ে এক রুলের শুনানিকালে এ আদেশ দেন।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, 'তদন্ত কমিশন গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাকে ৩০ দিন সময় দিয়েছে হাইকোর্ট।
"কমিশন গঠনের পরে, আদালতে ফলাফল জমা দেওয়ার জন্য ৬০ দিন সময় থাকবে।"
এর আগে সোমবার হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলেন, ষড়যন্ত্র না থাকলে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংক কেন অর্থায়ন বন্ধ করেছে?
আদালত আরও বলেছেন, যড়যন্ত্রকারীরা দেশবিরোধী; এদের খুঁজে বের করতে হবে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি এবং দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কেন কমিশন গঠন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি জারি করা রুলের ওপর শুনানির সময় এই প্রশ্ন করেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালত আরও বলেন, "পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটা আমাদের অহংকার। এ ধরনের জাতীয় স্বার্থ উন্নয়নের বিরুদ্ধে যারা থাকেন, তারা জাতির শত্রু, দেশের শত্রু, তাদের চিহ্নিত করা দরকার।"এরপর আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আজ (২৮ জুন) দিন ধার্য করেন।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কেন তদন্তের জন্য কমিশন গঠন করা হবে না তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে মন্ত্রিপরিষদ, আইন, স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে দুই সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলে।
ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনার পর বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য দাতারা পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে পিছিয়ে যায়।
দুর্নীতি দমন কমিশন এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগগুলো মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানায়।