পদ্মা সেতু তৈরি ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য সমুচিত জবাব: প্রধানমন্ত্রী

বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণই সব ষড়যন্ত্রকারীর উপযুক্ত জবাব।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি বলেন, "ড. ইউনূস সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করতে জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তদবির করেছিলেন। সেতু করে ইউনূস এবং অন্য সব ষড়যন্ত্রকারীদের সমুচিত জবাব দিয়েছি।"
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "পদ্মা সেতুর জন্য দক্ষিণাঞ্চল আর অবহেলিত থাকবে না। প্রমত্তা পদ্মা নদী পার হতে গিয়ে কাউকে আর প্রিয়জন হারাতে হবে না।"
"পদ্মা সেতু নির্মাণ করে আমরা মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ পুরো অঞ্চলের দৃশ্যপট বদলে দিয়েছি। এ অঞ্চলেও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।"
"পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে চাওয়ায় আমিসহ আমার পুরো পরিবারকে হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে। জাতির পিতা বলেছিলেন কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। আসলেই পারেনি। পারবেও না।"
"আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমি যেকোনো ত্যাগ করতে প্রস্তুত। নিঃস্ব আমি, রিক্ত আমি, দেওয়ার কিছু নেই।, বলেন তিনি।"
আজ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর গাড়িবহরসহ পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে সেতু পার হন তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে টোল প্লাজায় গিয়ে নিজ হাতে টোল দেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর তার গাড়িবহর নিয়ে সেতুতে যাত্রা শুরু করেন।
দুপুর ১২ টা ৩৮ মিনিটের দিকে জাজিরা প্রান্তেও ফলক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ফলক উন্মোচনের আগে মোনাজাত হয় সেখানে।

দুপুর ১২টা নাগাদ পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ফলক উন্মোচন করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে মোনাজাতে যোগ দেন।
শতভাগ দেশীয় অর্থায়নে ৩০,১৯৩.৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। সড়ক ও রেলপথের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে ঢাকার সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে নতুন দ্বার উন্মোচন করবে এ সেতু।
১৯৯৯ সালে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষার মাধ্যমে এ প্রকল্প শুরু হয়। এরপর থেকে নানা চড়াই-উতরাই পার হয়েছে, বিতর্কের শিরোনাম হয়েছে এ প্রকল্প।
২০১৫ সালে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বিদেশি সাহায্য আসার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর নদীর গভীরতা বাড়ায় কাজ পিছিয়ে যায়।