আনন্দে উদ্বেল জনতা পায়ে হেঁটে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছে

প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু উদ্বোধন করে সেতু পাড়ি দেওয়ার পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। পায়ে হেঁটে সেতু পাড়ি দিচ্ছেন অনেকেই।
আজকের পর আর কখনো পায়ে হেঁটে পদ্মা সেতু পাড়ি দেওয়ার সুযোগ না থাকায় অনেকেই আজকে ভিড় জমিয়েছেন সেতুর দুই প্রান্তে।
ইতোমধ্যে উৎসুক জনতার ভিড় জমিয়েছেন, হেঁটে যাচ্ছে দুই প্রান্ত ধরে।

সেতুর উপর দিয়ে দ্রুত গতির যানবাহন চলবে বিধায় পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে করে পদ্মা সেতু পাড়ি দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি।
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করায় পদ্মা সেতুর স্বপ্নের দুই দশকের যাত্রা আজ বাস্তব।
পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সেতু বিভাগ দেশব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বহুল প্রতীক্ষিত সেতুটির নাম সেতু বিভাগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে রাখার প্রস্তাব করলেও প্রধানমন্ত্রী তা নাকচ করে দেন। পদ্মা সেতুর দুই পাড়েই মাওয়া ও জাজিরায় চলছে মূল অনুষ্ঠান।
শতভাগ দেশীয় অর্থায়নে ৩০,১৯৩.৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। সড়ক ও রেলপথের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে ঢাকার সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে নতুন দ্বার উন্মোচন করবে এ সেতু।
১৯৯৯ সালে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষার মাধ্যমে এ প্রকল্প শুরু হয়। এরপর থেকে নানা চড়াই-উতরাই পার হয়েছে, বিতর্কের শিরোনাম হয়েছে এ প্রকল্প।
২০১৫ সালে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বিদেশি সাহায্য আসার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর নদীর গভীরতা বাড়ায় কাজ পিছিয়ে যায়।