বগুড়ায় বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপরে যমুনার পানি

বগুড়ার যমুনা নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে যমুনা নদীর পানি সমতল সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান।
গত ১৭ জুন সন্ধ্যা থেকেই যমুনায় পানি বিপৎসীমার ওপরে বইতে শুরু করে। এতে সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনটের ১১টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল পানিতে ডুবেছে।

পাউবো সূত্র জানিয়েছে, যমুনা নদীর বিপদ সীমা ধরা হয় ১৬ দশমিক ৭০ মিটার। সকাল ৬টার দিকে যমুনা নদীর পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয়। সে সময় নদীর পানি ১৭ দশমিক ৩৪ মিটার উচ্চতায় রয়েছে।
শুধু সারিয়াকান্দিতেই অন্তত ৬০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে।
তাদের জন্য ৫০ হাজার মেট্রিক টন জি আর চাল এবং ১০ লাখ টাকার শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, তাদের জন্য ৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত এবং ২টি রেসকিউ (উদ্ধার) বোট রাখা আছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৭টি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, এবার বন্যায় কারণে বগুড়ার ৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮ উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমির ফসল। ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ।