হবিগঞ্জে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
হবিগঞ্জে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রোববার বিকেল পর্যন্ত জেলার নবীগঞ্জ, আজমিরিগঞ্জ ও লাখাই উপজেলার মোট ২১টি ইউনিয়নে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এদিকে খোয়াই ও কুশিয়ারা নদীর পানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে।
নবীগঞ্জ উপজেলার ৯টি, আজিমরিগঞ্জ উপজেলায় ৫টি, লাখাই উপজেলায় ৪টি ও বানিয়াচং উপজেলায় ৩টি ইউনিয়নে বন্যার পানি প্রবেশ করায় অন্তত একশটি গ্রামের মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ পর্যন্ত ওই ৪ উপজেলার ৪ হাজার ৫৮১টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন অফিস সূত্র নিশ্চিত করেছে ।
সূত্র জানায় নবীগঞ্জে ১ হাজার ৩৬৫জন, আজমিরগঞ্জের ২ হাজার ৪০০, লাখাইয়ের ৩৫০ ও বানিয়াচংয়ের ১৮১ জন বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোয়ালনগরে খোয়াই নদীর ৭ মিটার বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নদীর পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ জানান, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে পাহাড়ি ঢলে খোয়াই নদীর পানি রোববার বিকেল থেকে বাড়ছে। বিকেল ৪টায় কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ নদীর পানি বাঁধ উপচে নবীগঞ্জের নিচু এলাকা প্লাবিত করছে। তবে বিবিয়ানা গ্যাসকূপ থেকে বন্যার পানি প্রায় তিন ফুট নিচে রয়েছে বলে জানান তিনি।
আজমিরিগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর এলাকায় কুশিয়ারা নদীর হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বানিয়াচং নবীগঞ্জ ও আজমিরিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাকাইলছেও উপজেলার জলসুখা, নোয়াগড় এলাকায়ও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা উপদ্রুত ৪টি উপজেলার জন্য ৩৫ টন চাল ও ও৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দয়া হয়েছে বলে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস সূত্রে জানা গেছে।