খালেদার হার্টে ২টি ব্লক আছে, বিদেশে চিকিৎসা প্রয়োজন: চিকিৎসক
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হার্টে এখনও দুটি বড় ব্লক আছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে হবে।
রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ আল মামুন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বেগম জিয়ার বর্তমান যে শারীরিক অবস্থা, তাতে শুধু দেশের বাইরেই চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
গতকাল তিনি হঠাত অসুস্থ হয়ে পড়লে দুপুরের দিকে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হার্ট এটাক হওয়ায় প্রয়োজনীয় টেস্ট করানোর পর তার আর্টারিতে একটি রিং স্থাপন করা হয়।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
আজ সকাল থেকে তাকে বিদেশে পাঠানোর পাশাপাশি তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
সর্বশেষ গত বছরের ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি, সে সময় তার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। লিভার সিরোসিস সমস্যার কারণে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে ভোগেন তিনি। গত বছরের ২৮শে নভেম্বর চিকিৎসকরা জানান, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন।
৮১ দিন হাসপাতালে থাকার পর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি বাড়ি ফেরেন।
এদিকে, বিদেশে তার উন্নত চিকিৎসার দাবীতে এ সময়জুড়ে নানা কর্মসূচী পালন করেছে বিএনপি।
সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার পরিবার থেকে এ বিষয়ে আবেদন করা হলে আইনে সেই সুযোগ নেই বলে সরকার জানিয়েছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয়। সেসময় খালেদাকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে, একই বছর অন্য একটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনভাইরাস চলাকালে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার তার কারাদণ্ড স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। তাকে এই শর্তে মুক্তি দেওয়া হয় যে তিনি তার গুলশানের বাড়িতে থাকবেন এবং দেশ ছেড়ে যাবেন না।