বিএম ডিপো অগ্নিকাণ্ড: চিকিৎসাধীন আরও ১ ফায়ারফাইটারের মৃত্যু
আরও এক ফায়ারফাইটারের মৃত্যুর পর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ এ।
রোববার ভোরে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ট্রিটমেন্ট ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত ফায়ারফাইটার গাউসুল আজমের মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের সিনিয়র স্টাফ অফিসার শাহজাহান সিকদার।
সীতাকুণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জন ফায়ারফাইটারের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আছেন তিনজন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন আরও ১৩ জন।
ফায়ার সার্ভিসের যে কর্মীরা এখনও নিখোঁজ, তারা হলেন কুমিরা ফায়ার স্টেশনের লিডার ইমরান হোসেন মজুমদার, ফায়ার ফাইটার শফিউল ইসলাম ও সীতাকুণ্ড স্টেশনের ফায়ারফাইটার ফরিদুজ্জামান৷
ফায়ার সার্ভিসের নিহত বাকি সদস্যরা হলেন- কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রানা মিয়া, আলাউদ্দিন, শাকিল তরফদার, নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট মনিরুজ্জামান, লিডার মিঠু দেওয়ান, সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশনের লিডার নিপুন চাকমা, ফায়ার ফাইটার রমজানুল ইসলাম, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও রবিউল ইসলাম।
এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার একটি পোড়া লাশ ফায়ার সার্ভিসের কর্মী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তবে তার পরিচয় মেলেনি৷ শনাক্ত করা যায়নি এমন লাশ শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে৷
সীতাকুণ্ডে আগুনের খবর পেয়ে প্রথম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কুমিরা ফায়ার স্টেশন আর দ্বিতীয় দল হিসেবে যায় সীতাকুণ্ড ফায়ার স্টেশন৷ নিহত দশজন ফায়ার সদস্যের মধ্যে সাতজনই কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা বলছেন, বিপুল ক্ষয়ক্ষতির একটি কারণ হল ফায়ার সার্ভিসকে রাসায়নিক পদার্থ মজুদ থাকার তথ্য জানানো হয়নি, বরং একটি 'গার্মেন্টস ডিপো' থেকে আগুন নেভানোর জন্য ডাকা হয়েছিল তাদের।
রাত ১১টার দিকে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের কয়েকটি কনটেইনার বিস্ফোরণের পর পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায়।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ শতাধিক মানুষ।