যানজটে অচল রাজধানী

তীব্র যানজটে অচল হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়ক।
বাংলামোটর, মগবাজার, শাহবাগ, তেজগাঁও, ধানমন্ডি, পান্থপথসহ একাধিক পয়েন্টে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
উত্তরাসহ বিভিন্ন সড়কে বুধবার সকাল থেকেই পরিবহনের চাপ বাড়তে থাকে। এরপর ধীরে ধীরে শহরের প্রায় সব এলাকায় ছড়িয়ে বেধে যায় তীব্র যানজট।
ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা বলেন, আজ দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মিছিল নিয়ে যান। এর কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে দীর্ঘ সময় চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে যানজট।
এছাড়া অন্যদিনের মতো বিভিন্ন এলাকায় ভিআইপি মুভমেন্ট ছিল। ফলে ওই এলাকাগুলোতে অল্প সময় চলাচল নিয়ন্ত্রণের কারণে বাড়তি চাপ পড়ে বলেও জানিয়েছেন তারা।
এদিন উত্তরা, বাড্ডা, তেজগাও, কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় দেখা যায় সকাল ১০টার পর থেকে পরিবহন ধীরে চললেও দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তীব্র যানজট লেগে থাকে।
জানা যায়, বুধবার একাধিক রাজনৈতিক দলের নানা কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশালসংখ্যক মানুষ জমায়েত হয়।
এরমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি এবং হত্যার হুমকির প্রতিবাদে রাজধানীতে মিছিল করেছেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দুপুরে তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মিছিল নিয়ে যান তারা।
তাদের মিছিলটি দীর্ঘ সময় নিয়ে এফডিসির মুখ থেকে কারওয়ানবাজার হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যায়। এতে আশপাশের রাস্তা বন্ধ হয়ে প্রচণ্ড যানজট শুরু হয় বলে টিবিএসকে জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কশিনার মো. মুনিবুর রহমান।
তিনি বলেন, দুপুরে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে দীর্ঘ সময় চলাচল বন্ধ থাকে ফলে শহরজুড়ে ছড়িয়ে পরে যানজট। তবে বিকেল থেকে এই এলাকাসহ শহরের প্রায় সব এলাকাতেই ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন টিবিএসকে জানান, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার জন্য কোনো পূর্বানুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
তবে ঢাকায় যেকোনো সড়কে রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজন করতে চাইলে ডিএমপির অনুমতি নিতে হয় বলে জানান তিনি।