নিহতদের ৫০ ও আহতদের ২০ হাজার অর্থ সহায়তা: ডিসি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার ও আহতদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান। রোববার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হতাহতদের দেখতে এসে তিনি এই ঘোষণা দেন।
এদিকে নিহত ও আহতদের সরকারের নির্দেশনার দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছে বিএম কন্টেইনার ডিপোর গ্রুপ অব কোম্পানিজ স্মার্ট গ্রুপের পরিচালক মাহফুজুর রহমান। তিনি আরো বলেন, 'আমরা হতাহতদের যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় বহন করবো এবং তাদের পরিবারের সব ধরণের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।'
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লাগে। ডিপোতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড কেমিক্যাল থাকায় অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ঘটনায় এই পর্যন্ত ৩৪ জন নিহত এবং ২২০ এর বেশি আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নামের বিপুল পরিমাণ দাহ্য রাসায়নিক ছিল। সেই রাসায়নিক থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে ডিপোতে। তবে দুর্ঘটনার শুরুতে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয় কাপড়ের গুদামে আগুন লেগেছে। এই ভুল তথ্যের বলি হতে হয়েছে পাঁচ ফায়ার ফাইটারকে।
এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯০, বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতাল ১৫ ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১৪, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ৩ জন শ্রমিক চিকিৎসাধীন আছেন। এদের মধ্যে ৩০ জনের অবস্থা গুরুতর।
চমেক বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান রফিক উদ্দিন আহমেদ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "হাসপাতালের বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি হওয়া ৫০ শতাংশ রোগীই আশঙ্কাজনক। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বেশ কয়েকজন রোগীকে অন্যান্য ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।"
বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের রেজিস্টার ডা. লিটন পালিত বলেন, "প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি হওয়া রোগীদের ১৭ জনের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এসব রোগীর যে কোনো সময় যে কোনো কিছু ঘটে যেতে পরে।"
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন সীতাকুণ্ডের শীতলপুর এলাকায় ২৮ একর জায়গার ওপর কনটেইনার ডিপোটি অবস্থিত। যেটি তৃতীয় সর্ববৃহৎ বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো। সরেজমিন দেখা যায়, ডিপোর ভেতরের ৫০০ মিটারের শেডের টিনের পুরো অংশ উড়ে গেছে।