দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: ‘এক কেজির জায়গায় আধা কেজি চাল কিনি’
উত্তরবঙ্গের জেলা দিনাজপুরের বাজারে এক মাসের ব্যবধানে নিত্য প্রয়োজনী জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। এতে সব শ্রেণির মানুষের নাভিঃশ্বাস উঠেছে।
দিনাজপুর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল শাহনেওয়াজ। তিনি জানান, দাম বৃদ্ধির কারণে নিত্যপণ্যের খরচও কমাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, "বাজারে যে জিনিসের দাম। এর জন্য এখন খরচের পরিমাণও কমছে।
যেখানে কিনতাম এক কেজি চাল, সেখানে কিনছি আধা কেজি। কী করার উপায় নেই। না খেয়ে তো আর বাঁচা যায় না।"
ডিম কিনতে আসা অটো চালক এনতাজুল ইসলাম বলেন, "মাংস কিনে খেতে পারি দুই তিন মাস পর পর। ডিম কিনে খাব, তার দামও বেশি। কী যে হবে দেশটাতে।"
দিনাজপুর সদর উপজেলার শেখপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা স্বপন কুমার সরকার। কাজ করেন একটি কাপড়ের দোকানে। বাড়িতে সদস্য ৫জন। তার বেতন না বাড়লেও এক মাসের ব্যবধানে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বেড়ে যাওয়ায় সংসার খরচ নিয়ে বে-কায়দায় পড়েছেন তিনি।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, "আমার পক্ষে সংসার চালানো খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। এক বছর ধরে কাপড়ের দোকানে আছি বেতন বাড়েনি। কিন্তু বাজারে কোন কিছু কিনতে গেলে সব জিনিসের দাম বেশি। কীভাবে চলতে পারি। সংসার নিয়ে অনেক টেনশেনে আছি।"
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি চাকুরীজীবির স্ত্রী বলেন, "এখন মনে হয় ২৫ তারিখে মাস পূরণ হলে ভালো হয়। কিন্তু মানুষ হয়ে জন্মাইছি। খেতে হবে, না খেলে মরতে হবে এটাই সত্যি।"