'অশনি’ মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় প্রস্তুত ২২৬ সাইক্লোন শেল্টার
ঘূর্ণিঝড় 'অশনি' মোকাবেলায় জরুরি প্রস্তুতি সভা করেছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। রোববার (৮ মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুর্যোগ মোকাবেলায় দুই উপজেলায় ২২৬টি সাইক্লোন শেল্টার ও স্থাপনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তার হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার।
সভায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুপেয় পানি সংরক্ষণসহ স্থানীয় বাজার থেকে শুকনা খাবার সংগ্রহ করতে ইউপি চেয়ারম্যানদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে পরিষদের সদস্য, গ্রাম পুলিশসহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সতর্কবার্তা জারি হওয়ায় পরপরই গর্ভবতী ও প্রসূতি নারীসহ বয়স্ক ও শিশুদের নির্ধারিত সাইক্লোন শেল্টারে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এসময় সিপিপির আঞ্চলিক কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ-উজ জামান, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি, শ্যামনগর থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ, এনজিও সমন্বয় পরিষদের প্রতিনিধি আল ইমরান, স্বেচ্ছাসেবক টিমের প্রতিনিধিসহ উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্যামনগর উপজেলা দুর্যোগ প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন জানান, 'দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলায় ১০৩টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৫৮টি দ্বিতলা ভবন মোট ১৮১টি ভবন প্রস্তুত করা হয়েছে। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকের তহবিল থেকে নগদ এক লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সতর্কতা সংকেত ৩ জারি হলে আমরা শুকনা খাবার কিনবো।'
অন্যদিকে, বিকেল ৩টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে আশাশুনি উপজেলা কমিটি।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জানান, দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য আশাশুনি উপকূলে সাইক্লোন শেল্টারসহ ৪৫টি স্থাপনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, ইতোমধ্যে বন্দর উপকূলীয় এলাকায় ২ নং সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। সোমবার দিনে বা রাতে বেশ কিছু স্থানে দমকা বাতাসসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় অশনির তেমন কোন প্রভাব পড়বে না। তবে তীব্র বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।