১৪৫ কোটি টাকায় ২টি টাগবোট কিনছে চট্টগ্রাম বন্দর
চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত জাহাজসমূহকে নিরাপদে বার্থিং সহ বিভিন্ন কাজে সহায়তার জন্য প্রায় ১৪৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি টাগবোট কিনছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও হংকংভিত্তিক চিওয় লি শিপইয়ার্ড লিমিটেডের মধ্যে গত ১৪ মার্চ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি অনুযায়ী উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিটি ৫০০০ বিএইচপি/ ৭০ টন বোলার্ড পুল এর দুটি টাগবোট সরবরাহ করবে হংকংয়ের প্রতিষ্ঠানটি। টাগবোট দুটি আগামী জুনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নৌ-বহরে যুক্ত হবে। ১৫ মার্চ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর সভাকক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, চিওয় লি শিপইয়ার্ড লিমিটেডের লোকাল এজেন্ট ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান তরফদার মোঃ রুহুল আমিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেজর (অবঃ) মোঃ সেরাজুস সালেকিন, নির্বাহী পরিচালক মোঃ মহিবুল্লাহ মোর্শেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (অর্থ) মোঃ কামরুল আমিন, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, উপ-সংরক্ষক ক্যাপ্টেন মোঃ ফরিদুল আলম, সচিব মোঃ ওমর ফারুক সহ বন্দরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তুলনামূলক বড় জাহাজ ভিড়ানোর সুবিধা সৃষ্টি করা, চট্টগ্রাম বন্দর/মহেশখালী/কুতুবদিয়া এলাকায় গৃহীত প্রকল্প ও জেটিসমূহে অধিক সংখ্যক বড় জাহাজ বার্থিং/আনবার্থিং এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বড় বাণিজ্যিক জাহাজসমূহের নিরাপদ বার্থিং/আনবার্থিং সহায়তা প্রদান, নতুন বাস্তবায়নাধীন বে-টার্মিনাল এবং মহেশখালী/কুতুবদিয়া এলাকায় মাতারবাড়ি টার্মিনালের অপারেশনাল কাজে সহায়তা প্রদান, চট্টগ্রাম বন্দরে আগত জাহাজসমূহের নিরাপত্তা সহায়তা বৃদ্ধিকরণ, বহিঃনোঙর এবং সমুদ্র এলাকায় রেসকিউ কার্যক্রম পরিচালনা করা, বাণিজ্যিক জাহাজসমূহে অগ্নিনির্বাপক সহায়তা প্রদান করা, নদী ও পরিবেশ দূষণবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করা, বাণিজ্যিক জাহাজসমূহকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সহায়তা প্রদান করা, কর্ণফুলী চ্যানেলের নৌ সংরক্ষণে সহায়তা প্রদান করা ইত্যাদি লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জন করা সম্ভব হবে।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির টাগ বন্দর কর্তৃপক্ষের নৌবহরে যুক্ত হওয়ার সাথে সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে যা ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এবং রাজস্ব আদায়ে বিশাল অবদান রাখবে বলে উল্লেখ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।