উদ্বোধনের ১০ ঘণ্টার মাথায় সৈকতে নারী-শিশু জোন বাতিল ঘোষণা
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ জোন ঘোষণার দশ ঘণ্টার মাথায় আবার বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন।
সৈকতের ব্যস্ততম লাবণী পয়েন্টে নারী-শিশু জোন উদ্বোধনের পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক নানা প্রতিক্রিয়ার পর বালুচরের এ জোন বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার (২৯ ডিসম্বর) রাত ১০টায় এ জোন বাতিলের বিষয় নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসনে ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. আবু সুফিয়ান।
সেখানে তিনি লেখেন, জেলা প্রশাসন পর্যটকদের মতামতের উপর সবসময় শ্রদ্ধাশীল। বিভিন্ন সময়ে পর্যটকদের মধ্যে অনেকে অনুরোধ করেছেন নারী ও শিশু পর্যটকের জন্য এক্সক্লুসিভ জোন থাকলে ভালো হয়। সেই বিবেচনায় বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে পৃথক এলাকা চিহ্নিত করে নারী ও শিশুদের জন্য এক্সক্লুসিভ জোন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এক্সক্লুসিভ জোনে যাদের ইচ্ছা হবে যাবে, অন্য পর্যটকরা তাদের ইচ্ছেমত ঘুরবেন।
আরো লেখা হয়েছে, এ-সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হয়। প্রচারিত সংবাদের প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনায় বিষয়টি নিয়ে বিরূপ মতামত পাওয়া গেছে। পর্যটকদের মতামতের উপর সমবসময় আমরা শ্রদ্ধাশীল। সুতরাং পর্যটকদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে নারী ও শিশুদের জন্য এক্সক্লুসিভ জোন চালু রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হলো।
জেলা প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। তাদের মতে, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে আলাদা জোন হতে পারে না। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা একে অপর থেকে আলাদা হয়ে কিংবা স্বামী থেকে স্ত্রী আলাদা হয়ে সমুদ্রস্নান করবে, এতে নিরাপত্তার চেয়ে অনিরাপত্তার আশঙ্কা ও ঝুঁকি বেশি থাকে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এ জোন উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন উদ্দিন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল আফসার উপস্থিত ছিলেন।