যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে প্রবাসী কর্মীদের সরিয়ে আনবে বাংলাদেশ: দূতাবাস
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরে আসতে ইচ্ছুক প্রবাসী কর্মীদের সরিয়ে নেবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (শ্রম) মো. আনোয়ার হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আমরা এখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। ইভাকুয়েশনের ব্যাপারে ইতিমধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত আছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছে কত লোক দেশে ফিরতে পারেন, এরকম একটা তালিকা করার জন্য। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।'
কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ কখন শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এই ধরনের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া সাধারণত দ্রুত ঘটে, এবং আমরা কোনো বিলম্ব করব না।'
তবে তিনি পরিবহন ব্যবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি।
ফার্স্ট সেক্রেটারি আরও জানান, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল ও বৈরুতে শিয়া-অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে।
'আমরা আমাদের লোকেদের বিপজ্জনক স্থান থেকে দূরে রাখছি,' বলেন তিনি।
চলমান পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ দূতাবাস ২৩ সেপ্টেম্বর কনস্যুলার এবং কল্যাণ সেবা বন্ধ ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্যমতে, লেবাননে অন্তত পাঁচজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন—তিনজন দক্ষিণ লেবাননে ও দুজন বৈরুতে।
অনানুষ্ঠানিক হিসাব অনুযায়ী, লেবাননে প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন। তাদের প্রায় ৪০ শতাংশ নারী।
বাংলাদেশি অভিবাসীরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ লেবানন থেকে—বিশেষ করে রফিক হারিরি মসজিদ এবং হামরা সানায়া পার্কের আশপাশ থেকে—প্রায় ২০-২৫ হাজার বাংলাদেশি বৈরুতে চলে এসেছেন।
গত বছরের অক্টোবর থেকে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরুর পরও লেবানন এই সংঘাতের তেমন প্রভাব পড়েনি। তবে গত সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটেছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইসরায়েল বিমান হামলা শুরু করার পর দক্ষিণ লেবাননের বাসিন্দাদের জন্য সরিয়ে নিতে সতর্কতা জারি করে। এরপর থেকে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে।