দুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি ও বৈদেশিক মুদ্রার সংকট মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপের তাগিদ অর্থনীতিবিদদের: ইআইবি বিশেষ জরিপ
অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন ব্যাপক সংষ্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তখন দুর্নীতি ও অর্থপাচার রোধ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠনকে জরুরি অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা।
ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স বাংলাদেশ-এর (ইআইবি) এক বিশেষ জরিপে অংশ নেওয়া অর্থনীতিবিদদের ৪২ শতাংশ দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইকে সবচেয়ে জরুরি অগ্রাধিকার হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-এর (সিপিডি) সন্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন, আইনি উপায়গুলো সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করে অপরাধীদের আওতায় আনার মাধ্যমে দুর্নীতি ও অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। চুরি করা সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য বিভিন্ন দেশের সহযোগিতা নেওয়া এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে খ্যাতিমান পেশাজীবীদের নিয়োগ করা প্রয়োজন। এছাড়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে নজরদারি করতে কমিউনিটি গ্রুপগুলোকে সংগঠিত করা যেতে পারে।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও ডেটাসেন্স-এর গবেষণাভিত্তিক যৌথ প্রকাশনা ইআইবি-র এ জরিপে অংশ নিয়েছেন দেশের ১২ জন অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক। তাদের ২৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় খাদ্যের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য সরবরাহ ব্যবস্থায় চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে এবং চাল, আটা, ডাল, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেলসহ নিত্যব্যবহার্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেটের দুষ্টচক্রের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
১ অক্টোবর প্রকাশিত জরিপে অংশ নেওয়া ১৭ শতাংশ অর্থনীতিবিদ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠনের ওপর জোর দিয়েছেন।
ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স বাংলাদেশের বিশেষ সংখ্যা এ পাওয়া যাবে এই লিংকে: https://intel.tbsnews.net/special-survey-issue