পদ্মা ব্যাংক থেকে ১২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উদ্ধারে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চাইল জীবন বীমা
পদ্মা ব্যাংকে আটটি মেয়াদোত্তীর্ণ এফডিআরের ১২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা উদ্ধারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ জীবন বীমা করপোরেশন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে লেখা এক চিঠিতে করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুহিবুজ্জামান তহবিল উদ্ধারে চলমান সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে নাম পরিবর্তন করে 'ফারমার্স ব্যাংক' থেকে 'পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড' নামে যাত্রা শুরু করার এতদিন পরও ব্যাংকটি পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে। এর পরই এই আবেদন করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পদ্মা ব্যাংকের সাতটি শাখায় আটটি এক বছর মেয়াদি আমানতের মাধ্যমে ১১৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে জীবন বীমা। কিন্তু ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ইমামগঞ্জ শাখায় একটি মেয়াদি আমানতের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় তা নগদায়ন করতে গেলে তারা কোনো টাকা দিতে পারেনি। এরপর অন্যান্য শাখার আমানত মেয়াদোত্তীর্ণের পরও নগদায়ন করতে পরেনি সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বারবার তাগিদপত্র দেওয়া এবং বেশ কয়েকটি চিঠি চালাচালির পরেও পদ্মা ব্যাংক টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
২০১৮ সালের এপ্রিলে সুদসহ অনাদায়ী অর্থের পরিমাণ ১২২ কোটি ৯৩ লাখ টাকায় পৌঁছানোর পর করপোরেশন সরকারের সহায়তা চেয়ে অর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি দেয়। এই প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, তহবিল পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আগস্ট মাস শেষে সুদাসল মিলে পদ্মা ব্যাংকের কাছে মোট পাওনা দাঁড়িয়েছে ১২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
এ অর্থ পরিশোধে জীবন বীমা করপোরেশন একাধিকবার চিঠি পাঠিয়েও এখনও পর্যন্ত ব্যাংকটির পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পায়নি।