মহাসড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জাবি শিক্ষার্থীরা
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে গতকাল (৩০ সেপ্টেম্বর) শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে করে ৪০ মিনিট বিক্ষোভ করার পর দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিটে মহাসড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জাবি শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দুপুর সোয়া ১টার সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে আশুলিয়ায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
এতে মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গুলিতে কোন সাধারণ শ্রমিকের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সাবেক স্বৈরাচারী সরকার পতনের মাধ্যমে যেই নতুন বাংলাদেশের সূচনা করা হয়েছে, শ্রমিকরাও সেটির অংশীদার। শ্রমিকরাও এই আন্দোলনের ছাত্র-জনতার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে আন্দোলনে শক্তি যুগিয়েছিল। এই নতুন বাংলাদেশে সেই শ্রমিকদের উপর মরণাস্ত্রের ব্যবহার কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৭ আবর্তনের শিক্ষার্থী ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "যেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বিগত স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে, সেই আন্দোলনে সমান অংশগ্রহণ ছিল পোশাক খাতের শ্রমিকদেরও। কিন্তু আমরা দেখলাম, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর ন্যাক্কারজনকভাবে গুলি চালিয়ে একজন শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।"
তিনি বলেন, "এটিই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে প্রথম কোন রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড। যেকোনো পরিস্থিতিতেই হোক, এই দেশের কোন নাগরিকের ওপর কোনোভাবেই মরণাস্ত্রের ব্যবহার আমরা সমর্থন করি না। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর কিছুদিন যেতে না যেতেই আমরা এমন এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হলাম।"
ঋদ্ধ অনিন্দ্য আরও বলেন, "আমরা চাই যাদের নির্দেশনায় এবং যাদের অস্ত্র থেকে এই গুলি বের হয়ে আমাদের শ্রমিক ভাইদের শরীর ভেদ করেছে, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হোক।"