প্রধান উপদেষ্টাকে খোলা চিঠি, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে: নেটওয়ার্ক
অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ নিশ্চিতকরণ ও এ বিষয়ে নীতিসমূহ স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর খোলা চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে চিঠি পড়ে শোনান শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্য অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন।
চিঠি পাঠকালে তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অসহিষ্ণু, আক্রমণাত্মক ও নৈরাজ্যবাদী জমায়েত আমরা লক্ষ্য করছি। সেসব জমায়েত থেকে অপছন্দের গোষ্ঠী ও দলের বিরুদ্ধে কেবল হিংসাত্মক কথাবার্তাই বলা হচ্ছে না, ক্ষেত্রবিশেষে সেসব মানুষের ওপর হামলাও হচ্ছে।
তিনি বলেন, তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘবদ্ধ হিংস্রতায় নিহত হয়েছেন তিনজন। অপরাধীদের ধরতে গিয়ে এক সেনা কর্মকর্তা হামলায় নিহত হয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে ভিন্ন জাতিসত্তার মানুষকে। মাজার, মন্দির, শিল্প- স্থাপনা ভাংচুর থেকে শুরু করে বাউল ও আহমেদিয়াদের ওপরও আক্রমণ হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে নাগরিকদের নিরাপত্তাবোধের অভাব তীব্রতর হবে এবং সংকট উত্তরণে সরকারকে আরও বেগ পেতে হবে।
অতি উৎসাহী গোষ্ঠীগুলোর অসহিষ্ণুতা প্রশমনের জন্য যারা এসব ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার করছেন এবং বিভিন্ন পরিচয় ও সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর বা নাগরিকের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করছেন, তাদের থামাতে হবে বলেও উল্লেখ করেন গীতি আরা নাসরিন।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা আসতে হবে, তারা আসলে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ কীভাবে নিশ্চিত করবে এবং সহিংস জমায়েতের সংঘবদ্ধ হিংস্রতা থেকে ভিন্নমত বা সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নেবে।
চিঠির অনুলিপি স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, আইন, ধর্ম ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের কাছেও পাঠানো হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।