কালুরঘাট সেতুতে অক্টোবরের শেষ থেকে যান চলাচল শুরুর আশা
চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ শেষ করে অক্টোবরের শেষ নাগাদ যানবাহন চলাচল শুরু করার পরিকল্পনা করছে রেলওয়ে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সেতু পরিদর্শন শেষে যানবাহন চলার পক্ষে মত দিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞ দল।
রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৬ জুন কালুরঘাট সেতুর সংস্কারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে সেতুটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী এবং আট মাসের মধ্যে মানুষ ও যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার কথা ছিল।
তবে ১৫ মাস পরও সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করতে পারেনি রেলওয়ে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল কর্তৃপক্ষ আরও এক মাস সময় নিয়েছে।
সংস্কারকাজের জন্য গত বছরের আগস্ট থেকে সেতুটিতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ডিসেম্বর থেকে সেতুটি দিয়ে কক্সবাজারগামী ট্রেন চলাচল শুরু হলেও ভারী সংস্কার কাজের জন্য যান চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে বিলম্ব করে। ফলে ট্রেন চালু হলেও যান চলাচলের উপযোগী হয়নি সেতুটি।
২০ সেপ্টেম্বর রেলপথ সচিব আবদুল বাকী চট্টগ্রাম পরিদর্শনকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরও এক মাস সময় পায়। তবে সেতুটি শক্তিশালী করতে ১৯টি পিয়ারের নিচে জিও ব্যাগ স্থাপনের কাজে আরও কয়েক মাস লাগবে বলে জানিয়েছে রেলের সেতু বিভাগ।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিঞা জানান, 'কালুরঘাট সেতুর সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কিছু আনুষাঙ্গিক কাজ বাকি আছে। বুয়েটের পরামর্শক টিম কাজের মান যাচাই করেছে। আশা করছি, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে।'
১৯৩১ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের অধীনে স্টিলের কাঠামোর ৬৩৮ মিটার দীর্ঘ এ সেতুটি নির্মিত হয়। শুরুতে কেবল ট্রেন চললেও ১৯৬২ সাল থেকে সেতুটি দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়।
সংস্কারের আগে সেতুটি দিয়ে মাত্র ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলত। সংস্কারের পর রেলওয়ে আশা করছে, ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলতে পারবে।