ইলিশের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে বরিশালে অভিযান, লোক দেখানো বলছেন ক্রেতারা
ভারতে ইলিশ রপ্তানির খবরে বরিশালের বাজারে দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় বরিশালের পোর্টরোড পাইকারি মৎস্য আড়তে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি দল ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেন এবং বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সতর্ক করে ভোক্তা অধিদপ্তর। আর খুচরা বাজারে যাতে কেউ বেশি দামে ইলিশ বিক্রি করতে না পারে সে লক্ষ্যে মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, বাজারে ইলিশের দামে বড় কোন অসংগতি পাওয়া যায়নি। বর্তমানে কিছুটা সরবরাহ কম রয়েছে। আজকে আমরা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলেছি। আমরা ইলিশের দরদামের ওপর বিশেষ নজর রাখছি। কেউ যদি সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রির চেষ্টা করে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাজারে এক কেজির ইলিশ প্রতি মন ৬৮ হাজার, ১২শ গ্রাম ৭২ হাজার, এলসি ৬২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার বলেছিল ভারতে ইলিশ পাঠাবে না। তখন কিছুটা কমতে শুরু করেছিল দাম। যখন ঘোষণা দিলো ভারতে তিন হাজার মন পাঠাবে তারপর থেকেই ইলিশের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ।
ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানকে লোক দেখানো উল্লেখ করে এই ক্রেতা বলেন, "ওনারা এসেছেন মানুষকে দেখাতে। প্রতিটি আড়তে মাছ ভরা। কিন্তু খুচরা ছাড়ছে না। সেগুলো খুঁজে বেড় করুক। তা করবে না। আসলে জনগণের জন্য কোন সরকারই কাজ করছে না।"
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, "মৌসুমের শুরুতে ইলিশের সরবরাহ কম ছিল। বর্ষা বেড়ে যাওয়ায় এখন কিছুটা বেড়েছে ইলিশ। সামনে ইলিশ ধরা পড়লে দামের তারতম্য হবে না আর লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হবে বলে আশা করছি।"