চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটি রুটে যান চলাচল শুরু, তবে বন্ধ রয়েছে খাগড়াছড়ি রুট
সংঘাত ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর চট্টগ্রাম-রাঙামাটি এবং রাঙামাটি থেকে অভ্যন্তরীণ রুটের গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। সহিংসতার কারণে দুই দিনের বেশি বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার সকাল থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে সংঘাতের উৎপত্তিস্থল খাগড়াছড়ি রুটে এখনো যান চলাচল শুরু হয়নি।
চট্টগ্রাম বাস, মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের (চট্টগ্রাম-রাউজান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান) সাধারণ সম্পাদক খোরশেদুল আলম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, "সোমবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম রাঙামাটি রুটে যান চলাচল শুরু হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ের মতো সকাল সাড়ে ৬টায় রাঙামাটি প্রান্ত এবং চট্টগ্রাম প্রান্ত; দুদিক বাস ছেড়ে আসে।"
তিনি জানান, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি রুটে দৈনিক ৫০টিরও বেশি বাস শতাধিক ট্রিপে চলাচল। এতে দুই হাজারের মতো যাত্রী যাতায়াত করেন।
চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটি রুটে বাস চলাচলের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় সিএনজি অটোরিকশা। এছাড়া রাঙামাটি থেকে কাপ্তাই, মহালছড়ি, নানিয়চড়া, খাগড়াছড়িসহ অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুটে এসব অটোরিকশাও চলাচল করে। সবমিলে দুই হাজারেরও বেশি সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে। এই যান চলাচলও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন ও চালক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বাবু। তিনি টিবিএসকে বলেন, "আজ সকাল থেকে সব রুটে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল শুরু করেছে। স্বাভাবিক নিয়মে চলছে।"
অন্যদিকে চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি রুটে যান চলাচল এখনো শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-নাজিরহাট-খাগড়াছড়ি বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাজাহান। তিনি টিবিএসকে বলেন, নিরপাত্তাজনিত কারণে এখনো যান চলাচল শুরু হয়নি। এই রুটে দৈনিক ১০০টির বাস দুই শতাধিক ট্রিপে চলাচল করেন। প্রায় ছয় থেকে আট হাজার যাত্রী নিয়মিত চলাচল করেন।
জাতিগত সহিংসতার জেরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় রাঙামাটি সহ তিন পার্বত্য জেলায় শনিবার সকাল থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল মালিক সমিতি।
জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক জরুরি সভা শেষে গতকাল রোববার রাতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রাঙামাটির পরিবহণ মালিক শ্রমিকরা।