আরও অন্তত সাত পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
জুলাই-আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র ও জনগণের ওপর চালানো নৃশংসতা ও হত্যাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত অন্তত ১০ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হাবিবুল হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি অন্তত ৭ জনকে গ্রেপ্তারের অনুমতি ও নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার ও বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের সাবেক উপ-কমিশনার ইকবাল হোসেন, ওয়ারী বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মো. শামীম (এসএম শামীম), ঢাকা জেলার সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত এসপি সহিদুর রহমান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের সাবেক সহকারী কমিশনার তানজিল আহমেদ, ডিএমপির উত্তরা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বর্তমানে এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।
এদের মধ্যে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত এসপি আব্দুলাহিল কাফী ইতোমধ্যে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয়ে কয়েকবার রিমান্ডে ছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং পুলিশ এ মুহূর্তে অভিযুক্তদের খুঁজছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনার পতনের পর থেকেই এই পুলিশ সদস্যরা আত্মগোপনে চলে যান এবং কাজে যোগ দেননি। এই সমস্ত কর্মকর্তারা আন্দোলনকে দমন করতে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করেছিলেন এবং তাদের পেশাগত দায়িত্বের বাইরে চলে গিয়েছিলেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যথাযথ তদন্ত ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না—এমন সিদ্ধান্তে গ্রেপ্তারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারাদেশের ওসিদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের ঘটনায় বিভিন্ন আদালত ও থানায় দায়ের করা মামলায় যথাযথ প্রমাণ ও তথ্য ছাড়া কোনো সরকারি কর্মচারীকে গ্রেপ্তার না করতে নির্দেশনা জারি করা হয়।